বিদ্যমান কর হার কমিয়ে আরও বেশি মানুষকে করের আওতায় এনে রাজস্ব বাড়ানোর কৌশল নেওয়ার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এক সেমিনারে একথা বলেন তিনি।
উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য অর্জনে সব ব্যবসায়ীকে সম্পৃক্ত করার আশা প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আগামীতে ট্যাক্স রেট কমিয়ে করের আওতা বাড়ানো হবে। এখন তিন লাখ কোটি টাকা কর আদায় করা হচ্ছে।
“আশা করছি, ট্যাক্স রেট কমিয়ে চার লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আয় সম্ভব। আমরা প্রমাণ করতে চাই, ট্যাক্স রেট কমিয়ে রাজস্ব বাড়ানো সম্ভব।”
প্রতিটি খাতের কর পর্যালোচনা করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, “কোন আইটেমে ট্যাক্স কমানো যায়, এগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসব। আমরা সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই।
“আমার কাজটি হবে অতীতে আমাদের যেখানে সফলতা আছে সেটা সবার সহযোগিতা নিযে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, আর যেখানে আমাদের ব্যত্যয় রয়েছে সেগুলোকে সম্পূর্ণভাবে নিরসন করে একটি স্বাভাবিক অবস্থানে নিয়ে আসা।”
এনবিআর আয়োজিত এই সভায় অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হবে।
“তবে ভ্যাট হার এক হবে না। পণ্যভিত্তিক আলাদা ভ্যাট হার হবে। এ নিয়ে ব্যবসায়ীসহ সব অংশীজনকে নিয়ে আলাপ আলোচনা করা হবে।”
তিনি বলেন, “সব ব্যবসায়ী অসৎ নয়, আবার সব সরকারি কর্মকর্তা অসৎ নন। সবাই অসৎ হলে এত প্রবৃদ্ধি হত না।”
ঘন ঘন নীতি পরিবর্তন না করার পক্ষে অবস্থান জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, “জাপান থেকে মাল রওয়ানা হল, আর দেশে আসতে আসতে শুল্ক হার পরিবর্তন হয়ে গেল- এই রকম ঘটনা আর ঘটবে না।”
দেশের অগ্রযাত্রায় ব্যবসায়ীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করে মন্ত্রী বলেন, “একটা মানসিকতা নিয়ে আমি এখানে এসেছি। আমার একটা মিশন আছে। আমার মিশনটা হচ্ছে, দেশের সকল মানুষ যারা ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত তাদের সবাইকে আমাদের জাতীয় ভিশনের সাথে সম্পৃক্ত করা।
“সরকারের যে ভিশন-২০৪১ সালে একটি উন্নত, একটি সুখী, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ- এই ভিশনের সাথে দেশের সকল মানুষকে সম্পৃক্ত করাটা হচ্ছ আমার মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।”
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেড় কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণে কাস্টমসের কার্যক্রম আরও সহজ করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
“একজন অসৎ ব্যবসায়ীর জন্য ৯৯ জন কষ্ট পেতে পারে না,” বলেন তিনি।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, “আমাদের সম্ভাবনা অনুযায়ী বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য ব্যবসাবান্ধব ও সহজীকরণ করতে হবে। এ খাতে পৃথিবীতে আমরা সবচেয়ে নীচের দিকে রয়েছি। এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে “