তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কলকাতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব দুই বাংলার নৈকট্য গভীর করতে আরও অবদান রাখবে।
শুক্রবার বিকেলে কলকাতার রবীন্দ্রসদনের নন্দন থেকে সাতদিন ব্যাপী বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র মানুষের মনে স্থায়ী ছাপ ফেলে। সে কারণে এটি মানুষে-মানুষে যোগাযোগ গড়ে তুলেতে অনন্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
পশ্চিমবঙ্গের বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও জৈবপ্রযুক্তিমন্ত্রী ও বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা সম্মানীয় অতিথি, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান ও কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ বিশেষ অতিথি ছিলেন। কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রথম সচিব প্রেস ড. মো. মোফাকখারুল ইকবাল।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে চলচ্চিত্র শুরু হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যৌথভাবে ভারত-বাংলাদেশের চলচ্চিত্র তৈরির কাজ হচ্ছে, যা আগে ছিল না। আমাদের আসল পরিচয় আমারা বাঙালি, তাই সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান বাড়াতে হবে। এর ফলে দুই বাংলার নৈকট্য স্থাপন হবে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারেরমন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, সমাজের উন্নয়নের জন্য শিল্প ও সাহিত্যের সঙ্গে রাজনীতি আনা ঠিক নয়। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ তথা সারাবিশ্বের এক অনন্য সম্পদ বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান।
এ বছরকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর এবং ভারত বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেরও পঞ্চাশ বছর হিসেবে বর্ণনা করে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ভারত-বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা একসঙ্গে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্তের অক্ষরে গড়া । তাই এই সম্পর্ক ছিন্ন হবার নয়।