সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের কল সেন্টারগুলো একটি সম্ভাবনাময় শিল্পে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের সঙ্গে কল সেন্টার প্রতিষ্ঠান সমূহের সংগঠন বাক্কোর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
চুক্তির ফলে বাক্কো’র প্রতিষ্ঠানগুলো জামানত বিহীনভাবে শর্ত সাপেক্ষে ব্র্যাক ব্যাংক থেকে বিভিন্ন মেয়াদে ঋণ সুবিধা পাবে।
ডাক ও টেলিযোগোযোগ মন্ত্রী দেশের পোশাক শিল্পের বিকাশে অতি সাধারণ কর্মীদের মূল শক্তি হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, যারা সাধারণ কম্পিউটারও শেখেনি তাদের কাজে লাগিয়ে বাক্কো কল সেন্টার কাজ শুরু করে অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কল সেন্টারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং সেক্টরের দূরত্বটা ব্র্যাক ব্যাংকের এই উদ্যোগের মাধ্যমে দূর হয়ে গেল। আমি আশা করি ব্র্যাক ব্যাংকের এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাক্কোকে অনুধাবনের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং খাতের যে সমস্যা ছিল তা কেটে যাবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশের ধারাবাহিকতা তুলে ধরে মোস্তাফা জব্বার বলেন, কল সেন্টার খাত কেবল শুধু ভালো ইংরেজি জানা লোকের জন্যই নয়, এ খাতে ভালো বাংলা জানা মানুষের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এক সময়ে আমরা ভাবতাম সারা দুনিয়াই ইংরেজি নির্ভর। কিন্তু এখনকার ও সামনের দুনিয়া হচ্ছে মাতৃভাষাকেন্দ্রিক। আমরা এক সময়ে ভাবতাম সবই রপ্তানি করতে হবে-নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজারের দিকে আমরা তাকাইনি। অথচ ১৭ কোটি মানুষের একটি দেশ তার দ্রুত উন্নয়নের ক্ষেত্রে নিজেদেরই ডিজিটালাইজেশনের অনেক কাজ রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রথম শিল্প বিপ্লব যুগ থেকে শুরু করে অদ্যাবধি শিল্প বাণিজ্যের বিকাশে ব্যাংক বড় ভূমিকা পালন করে আসছে। আমাদের অর্জনসমূহকে আমরা ধরে রাখতে চাই। এতদিন ডিজিটাল ডিভাইসের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ছিল আমদানি নির্ভর একটি দেশ। আজকের বাংলাদেশ এই খাতের একটি রপ্তানি নির্ভর একটি দেশে উন্নীত হয়েছে। দেশে ১১টি মোবাইল কারখানায় দেশের শতকরা ৬০ ভাগ মোবাইল সেটের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। বাংলাদেশে এখন ৫জি সেট উৎপাদন হচ্ছে। আমরা আইওটি ডিভাইস রপ্তানি করছি।
রোবটিকস, বিগডাটা ও আইওটিসহ উদীয়মান ডিজিটাল ডিভাইস খাতে বিনিয়োগে নজর দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।
বাক্কোর সভাপতি ওয়াহিদ শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম রেজা, হেড অব এসএমই সৈয়দ আবদুল মোমেন এবং বাক্কোর সেক্রেটারি জেনারেল তৌহিদ হোসেন বক্তব্য দেন।