আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্যারোলে মুক্তি চাইতে হয়, না চাইলে সরকার কাউকে জোর করে প্যারোল দিতে পারে না। সোমবার সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এক বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে আছেন। ৭৪ বছর বয়সী খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় গত ১ এপ্রিল পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ অবস্থায় সম্প্রতি খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে নানামুখী আলোচনা চলছে। প্যারোলে মুক্তি নিয়ে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারেন- এমন আলোচনাও রয়েছে।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে- হানিফ :আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ অভিযোগ করেছেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে। বিএনপির নেতারা তার রোগমুক্তি চায় না। এটা নিয়ে রাজনীতি করাই তাদের মূল লক্ষ্য।
রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সোমবার বিকেলে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত ‘ভবনের অগ্নিসুরক্ষা :বর্তমান পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল কারাগারে খালেদা জিয়ার কোনো সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না, সুচিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও তাকে বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসা করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। কারণ তিনি একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে আইনি প্রক্রিয়ায়ই মুক্ত করতে হবে। এর বাইরে অন্য কোনো উপায় নেই। আন্দোলনের হুমকি দিয়ে লাভ হবে না।
তবে খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে গত রোববার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, সাধারণত দণ্ডপ্রাপ্ত কারও আত্মীয়স্বজন মারা গেলে তাকে শেষ দেখা ও শেষকৃত্যের জন্য কিংবা অসুস্থ হলে প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি আসে। তবে আমার জানা মতে, খালেদা জিয়ার তেমন কোনো পরিস্থিতি হয়নি।