কাজটা করে ভীষণ মজা পেয়েছি: মধুমিতা

33

বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে মা-মেয়ের সম্পর্কের গল্প বলবে ‘চিনি’। মধুমিতা বলছেন, এখনকার প্রত্যেক মা আর সন্তান এই গল্পের সঙ্গে নিজেদের মিল খুঁজে পাবে। এখানে ধরা পড়েছে মায়েদের সঙ্গে আমাদের জেনারেশন গ্যাপ আর সেই নিয়ে তৈরি হওয়া সমস্ত খুঁটিনাটি। যে জিনিসগুলোকে আমরা খুব একটি বেশি লক্ষ্য করি না, সম্পর্কের সেই ছোট ছোট বিষয়গুলোই ধরা পড়বে চিনিতে।

নাম ভূমিকার সঙ্গে তবে কি মিল রয়েছে মধুমিতার? প্রশ্ন শুনে হেসে ফেললেন নায়িকা। তারপর বললেন, চিনি পুরোটাই আমি। শুরু থেকে শেষ অবধি পুরোটাই আমি। খুব জোর দিয়ে কথাটা বলছি আবার, চিনি এক্কেবারে আমি।

এই প্রথম নয়, সাবলীল অভিনয়ে এর আগেও দর্শকদের মন জয় করেছেন মধুমিতা। ছোটপর্দার ‘পাখি’ থেকে ‘লাভ আজ কাল পরশু’র তিস্তা, মধুমিতার অনুরাগীর সংখ্যা বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। কিন্তু এমন মনের মত চরিত্র নাকি আগে পাননি তিনি।

বলছেন, এর আগে যখনই কোনো চরিত্রে অভিনয় করেছি, তার সঙ্গে নিজের মত করে কিছু কিছু অনুভূতি যোগ করে নিতে হয়েছে। তবেই চরিত্রের সঙ্গে একাত্ম হতে পেরেছি। কিন্তু এখানে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে ঢেলে দিলে মধুমিতাই চিনি আর চিনিই মধুমিতা। চরিত্রটা ধরার জন্য আমায় কোনো কষ্টই করতে হয়নি।

পর্দার মায়ের প্রশংসাতেও পঞ্চমুখ মধুমিতা। বললেন, অপরাজিতা আঢ্য ভীষণ পরিণত একজন অভিনেত্রী। যখনই ওনার মনে হতো আমি আরো একটু ভালো করতে পারি উনি নির্দ্বিধায় আমায় বলতেন। শুধু উনি কেন, মৈনাকদা, সৌরভদা গোটা টিমটাই ভীষণ ভালো ছিলো।

করোনা পরিস্থিতির পর ছবির মুক্তি। মাথায় কাজ করছে হল ভরার চিন্তা-ভাবনা? ‘অভিনয়ের সময় অতো কিছু মাথায় রাখি না। কেবল বলতে পারি কাজটা করে ভীষণ মজা পেয়েছি। এখন কেবল দর্শকদের মতামতের অপেক্ষা করছি,’ স্বতঃস্ফূর্ত উত্তর মধুমিতার।

পর্দার চিনির মতোই আধুনিক মেয়ে মধুমিতা। ব্যক্তিগত জীবনে চিনি কী কী শেখালো মধুমিতাকে? অভিনেত্রী বললেন, জীবনে ধৈর্য্য জিনিসটা খুব জরুরি। মাঝেমধ্যে আমরা না ভেবেচিন্তে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। সেটা আমাদের কাছের মানুষের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলে।

Pin It