কাজটা চলচ্চিত্র ভেবে করিনি: নাবিলা

nabila

শাপলা মিডিয়ার প্রযোজনায় নির্মিত ‘অগাস্ট/১৯৭৫’ ও গ্রামীণফোনের ‘নাবিলার দিনরাত্রি’ নিয়ে মুখোমুখি হলেন অভিনেত্রী মাসুমা রহমান নাবিলা।

‘নাবিলার দিনরাত্রি’ কেমন চলছে?

‘নাবিলার দিনরাত্রি’ অনুষ্ঠানের প্রথম এপিসোড পরশু প্রচার হয়েছে। আরও ছয়টি পর্ব হবে। এটি দ্বিতীয় সেশন। এপ্রিলের দিকে লকডাউনের শুরুর দিকে সেলিব্রেটিদের নিয়ে প্রথম সেশনটা করেছিলাম।

সেলিব্রেটিদের নিয়ে দর্শকরা জানতে চায়। ওই আইডিয়া থেকে অনুষ্ঠানটা শাহরিয়ার শাকিল পরিচালনা করেন। এতে গ্রামীণফোন সহযোগিতা করেছে। গ্রামীণফোনের পেইজের পাশাপাশি এনটিভিতে প্রচার হয়। পরে আর করিনি। তখন মনে হয়েছিল আর বেশি না টানায় ভালো। আর ঘর স্টুডিও না। একটা অনুষ্ঠান করলে আরও জায়গার দরকার হয়।

এবার গ্রামীণফোন নতুন আইডিয়া নিয়ে এসেছে। এবার সাধারণ দর্শকদের নিয়ে অনুষ্ঠানটা করতে চায়। ঘরে বসে আমরা ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে হয়ে গেছি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেকে সৃজনশীল কাজ করতে পারছে। সাতজন দর্শকের কাজগুলো জানার চেষ্টা করা হয়েছে এবারের পর্বে। লকডাউনের মধ্যে তারা কীভাবে সময় কাটিয়েছে-তা তুলে আনার চেষ্টা করেছি।

লকডাউনের মধ্যে নতুন কী শিখলেন বা কোন বিষয়ে আগ্রহী হলেন?

এই সময় মনে হয়েছে, সবারই বাগান আছে। বাগান করার সময় ও মনোযোগ আগে ছিল না। এবার মনে হয়েছে, প্রকৃতির উপর যে অত্যাচার করেছি তার ফলশ্রুতিতে মহামারীর মধ্যে পড়েছি। সম্প্রতি ফুলের টব নিয়ে এসেছি। এখন কিছু কিছু কাজের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। রান্না করছি নতুন নতুন।

শাপলা মিডিয়ার প্রযোজনায় নির্মিত ‘অগাস্ট/১৯৭৫’ শিরোনামে একটি কাজ করেছেন। কী অবস্থায় আছে কাজটা?

আমার কাছে প্রথম যখন এটার প্রস্তাব এসেছিল, প্রথমে মানা করেছিলাম। নিজের শাশুড়ি কোভিড পজিটিভ ছিলেন। মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম না। এরপর আবার দ্বিতীয়বার যখন আপ্রোচ করে তখন আমি জানতে চাই, কাজটা আসলে কোথায় যাবে? সেটার সঙ্গে এখন খুব একটা মিল পাচ্ছি না।

তখন তারা বলেছিল, এটা একটি ডকুমেন্টারির মতো হবে। তারপর বলেছে, ১৫ অগাস্টে বিভিন্ন চ্যানেলে অনএয়ারের চেষ্টা করবেন। বিশেষ করে বিভিন্ন স্কুলে স্কুলে এটা প্রদর্শিত হবে। আমি ওই জায়গা থেকে কাজটা করেছি। বলেছিল, হল খোলা হলে হয়তো হলেও দেওয়া হবে। হলের বিষয়টি একটি অপশন ছিল।

আমি আসলে চলচ্চিত্র বা ফিল্ম ভেবে করিনি। এটা প্রজক্টে হিসেবে করিনি। এটাতে অনেকগুলো চরিত্র। কেউই আসলে সেন্ট্রাল ক্যারেক্টার না। ঘটনার মধ্যে প্রত্যেকেরই আসলে কিছু কিছু পার্ট রয়েছে। আমাকে বলেছিল, আমার একদিনের শুটিং। এফডিসিতে হবে। এক্সপেরিয়েন্স গ্যাদার করতে চেয়েছিলাম। প্রথম অন্য কারও চরিত্রে কাজ করা। অভিজ্ঞতা নিতে কাজটা করেছি। শুটিংয়ের পর পারিশ্রমিক পেয়েছি। এরপর আর কিছু জানি না।

১৫ অগাস্ট তো চলে গেল। কাজটা নিয়ে আসলেই কী হয়েছে, জানি না। পরে ওনাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ ছিল না। আমার এক বন্ধু বলেছিল, ওটা কোথায় দেখতে পাবো। তখন আমি বলেছিলাম, আমি তো খোঁজও নেইনি। আমাকেও জানায়নি। আমি একজন অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টরকে টেক্সট করেছিলাম কিন্তু উনি কোনও উত্তর দেননি।

সামনে কী কাজ করছেন?

আমার শাশুড়ির করোনাভাইরাস শনাক্তের পর আমার সময়গুলো ভয়ের মধ্যে কেটেছে। আমি এখন কাজ করতে সাহস পাচ্ছি না। আমি একজন রোগীকে সামলে নিয়েছি। যার যায় তার অনেক ধকল যায়। এই ঝুঁকিটা আমার পরিবারকে দিতে চাই না। মাঝে মাঝে কাজে ফেরার কথা ভাবলেও এই সময়ে নিজে ও পরিবারের সুরক্ষা সবার আগে। ফলে পরিস্থিতি একদম স্বাভাবিক না হলে বাইরে কাজ করব না।

Pin It