সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কামাল হোসেনসহ সরকারবিরোধীরা নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের কাছে অভিযোগ করলেও তারা এর কোনো মূল্য দিচ্ছেন না।
বরং এর মধ্য দিয়ে তারা ‘তামাশার পাত্রে’ পরিণত হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটের নামে ‘প্রহসন’ হয়েছে বলে মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় মন্তব্য করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেন।
হুমকির সুরে তিনি বলেছিলেন, “আমি বিশ্বাস করি, ১৬ কোটি মানুষ এটা মেনে নেবে না। আমাদের যা করণীয় আছে, আমরা অন্তত করব।”
বুধবার দুপুরে রাজধানীর কাউলাতে ‘ঢাকা এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ের’ কাজ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে কামাল হোসেনের ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “আসলে যারা এ ধরনের অপবাদ দিচ্ছে, তারা নিজেরাই আজকে দেশে-বিদেশে তামাশার পাত্র হয়েছে । কারণ জনগণ তাদের এই অভিযোগ আমলে নিচ্ছে না।
“জাতিসংঘসহ উন্নত বিশ্ব তাদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হচ্ছে না। কাজেই তারা নিজেরাই অপপ্রচারের জন্য তামাসারপাত্র হয়ে গেছে। যাদের কাছে তারা নালিশ করছে, তাদের কাছে এর ‘কানা-কড়ির’ও দাম নেই।”
ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনে অনিয়মের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবির বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, “বিচার বিভাগীয় তদন্ত করুক, অসুবিধা কি? এ নিয়ে আমাদের কোনো বাধা নেই, চিন্তাও নেই।
“তারা ট্রাইব্যুনালে নেবেন? হোক ট্রাইব্যুনাল। অসুবিধা নেই তো। এসব নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যথাও নেই, কোনো হস্তক্ষেপও নেই। কোনো প্রকার বাধা, প্রতিবন্ধকতা সরকারের পক্ষ থেকে নেই। বিচার বিভাগ স্বাধীন, তারা কোনো তদন্ত করলে করতে পারে।”
নির্বাচনের আগে সংলাপে প্রধানমন্ত্রী যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেগুলো পূরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রী তাদের কোন দাবিটা রাখেননি, সেটা তারা নির্দিষ্টভাবে বলুক, তথ্য-প্রমাণসহ বলুক।
“সংলাপ হবে এমন কোনো ভাবনা-চিন্তা দেশে বিদেশে কোথাও ছিল না। আমরা দলীয়ভাবে সংলাপের বিরুদ্ধে ছিলাম। বাংলাদেশে যেটা সম্ভব ছিল না, সরকার প্রধান সংলাপ ডাকল। এ রকম অসম্ভবকেও সম্ভব করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যেটা দেশে-বিদেশে ব্যাপকভাবে প্রশংসা পেয়েছে।
“এখন তারা যদি নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর, আন্দোলন-নির্বাচনে শোচনীয় ব্যর্থতা ঢাকার জন্য এসব অবান্তর অভিযোগ তোলে- সেটা কিন্তু দেশে-বিদেশে হাস্যকর বিষয়ে পরিণত হবে।”
দেশের রাজনীতি আমলানির্ভর হয়ে পড়েছে বলে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “মন মানসিকতায় রাজনৈতিক হয়েও যারা আমলা, তারা আমলার চেয়েও ভয়ঙ্কর, তিনি (মইনুল) সেই রকমই।
“তিনি যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন তখন তার যে আচার- আচরণ ছিল, সেটা আমলার চেয়েও ভয়ঙ্কর ছিল।”