পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার সঙ্গে ‘লক ইনের’ যে শর্ত দেওয়া হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে, তা তুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছে বিএসইসি।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান, কমিশনার এবং নির্বাহী পরিচালকরা বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সঙ্গে দেখা করে কাজেট নিয়ে তাদের সুপারিশগুলো জানান।
প্রস্তাবিত বাজেটে বাজেটে ৫টি পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান বলেন, “বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াৎ-উল-ইসলাম ২০২০-২১ সালের বাজেটে পুঁজিবাজারে ‘কালো টাকা’ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ৩ বছর লক ইন রাখার যে শর্ত দেওয়া হয়েছে, সেটা তুলে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।”
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২০-২১ সালের বাজেটে পুঁজিবাজারে অর্থের প্রবাহ বাড়াতে ১০ শতাংশ কর দিয়ে ‘কালো টাকা সাদা’ করার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন।
তবে শর্ত দিয়েছেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করলে সেই টাকা তিন বছরে পুঁজিবাজার থেকে তুলে নেওয়া যাবে না, অর্থাৎ এই অর্থ ‘লকড ইন’ থাকবে।
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ যেহেতু ঝুঁকিপূর্ণ, তাই ৩ বছর টাকা আটকে রাখার শর্ত দিলে কেউ ওই সুযোগ নিতে চাইবে না।
বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত এছাড়াও লভ্যাংশের করমুক্ত আয়ের সীমা ৫০ হাজার টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা, তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রেও কর হার কমানো, শেয়ার লেনদেনের উপর উৎসে কর হার দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক শূন্য ১৫ শতাংশ করা এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের কর হার ৩৭.৫০ থেকে কমিয়ে ৩২.৫০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন।
বৈঠকে বিএসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলেন বিএসইসি কমিশনার খোন্দকার কামালউজ্জামান, ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, ড. মো. মিজানুর রহমান, মো. আব্দুল হালিম।