কাল ডাকসু নির্বাচন- অপেক্ষা সুষ্ঠু ভোটের

nn-5c842ebc2454b

২৮ বছরের অচলায়তন ভেঙে বহুল প্রতীক্ষিত ডাকসু নির্বাচনের ভোট আগামীকাল সোমবার। দীর্ঘ আন্দোলন, সংগ্রাম ও আইনি লড়াই পেরিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ নির্বাচন। সব ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণের সুবাদে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। গতকাল শনিবার প্রচারের শেষ দিনটিও দারুণ প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে প্রার্থী ও ভোটারের পদচারণায়। ছুটির দিন থাকায় প্রচারে বিশেষ গুরুত্ব পায় আবাসিক হলগুলো। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, মধুর ক্যান্টিন, টিএসসি, অপরাজেয় বাংলার মতো জমজমাট আড্ডাস্থলগুলোও লিফলেট বিতরণসহ বহুমুখী প্রচারে মুখর থাকে সারাদিন।

দেশের ‘দ্বিতীয় পার্লামেন্ট’খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দিকেই এখন নজর সবার। ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থী, ভোটার, ছাত্র সংগঠন সবার একই চাওয়া- সুষ্ঠু ভোট। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন সবাই। একাধিক ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। গতকাল প্রচারের শান্তিপূর্ণ পরিবেশে খানিকটা উত্তাপ ছড়ায় বাম ছাত্র সংগঠনের হাতে জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন ছাত্র সমাজের ধাওয়া খাওয়ার ঘটনা। এ ছাড়া শেষ দিনে ইশতেহার ঘোষণা, মিছিলের মতো কর্মসূচিও ছিল।

নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ সমকালকে বলেন, এরই মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। এখন সবকিছু পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

নির্বাচনে মোট ভোটার ৪৩ হাজার ১৭৩ জন। মোট প্রার্থী ৭৩৮ জন। তাদের মধ্যে ডাকসুতে প্রার্থী হয়েছেন ২২৯ জন। ১৮টি হল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫০৯ জন। প্যানেল সংখ্যা ১০। এর বাইরে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও। ভোট গ্রহণ ও নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন একজন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পাঁচজন রিটার্নিং কর্মকর্তা। শিক্ষার্থীদের ভোটে নির্বাচিত হবেন ডাকসু ও হল সংসদগুলোর নতুন নেতৃত্ব। তাদের সাদরে বরণ করে নিতে অপেক্ষায় রয়েছেন ছাত্র-শিক্ষকসহ পুরো ঢাবি পরিবার। কারণ নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আড়াই দশকের বেশি সময় পর আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় শিক্ষার্থীদের অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা পাবে।

সবার চাওয়া সুষ্ঠু ভোট :ছাত্রলীগের নেতৃত্বাধীন ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশের মাধ্যমেই ডাকসু নির্বাচন হোক, তা আমরা চাই। এখানে সব শিক্ষার্থীর স্বতঃস্ম্ফূর্ত অংশগ্রহণ থাকবে। সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব সবার। আর শিক্ষার্থীরা যাকে রায় দেবেন, আমরা তা মেনে নিয়ে তাদের সাদরে গ্রহণ করব। তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার ফিরে পাচ্ছে। আমরা তাদের জন্য কাজ করতে চাই। তবে শুধু প্রতিশ্রুতি দিতে চাই না। নির্বাচিত হই বা না হই, সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করে যাব।

ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান অভিযোগ করেন, প্রশাসন শুরু থেকেই বিশেষ একটি সংগঠনের পক্ষে কাজ করছে। তাদের পক্ষে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। আমরা শুনেছি, ভোটের দিন ছাত্রলীগের কর্মীদের সারিবদ্ধ লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখা হবে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়া হবে। সবাই যেন ভোট দিতে না পারে। নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে আমরা শঙ্কিত। ক্যাম্পাস ও হলে আমাদের কর্মীদের প্রচারে নানাভাবে বাধা প্রদান ও হেনস্তা করা হয়েছে। কয়েকবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তার পরও আমরা ডাকসুর ব্যাপারে ইতিবাচক রয়েছি। সর্বশেষ সময় পর্যন্ত দেখতে চাই এবং দেখব। শিক্ষার্থীদের কাছে অনুরোধ থাকবে, তারা যেন ভোট দিতে আসেন। তবে কূটকৌশলের নির্বাচনের চূড়ান্ত রূপ যদি দেখতে পাই, তাহলে সব ছাত্র সংগঠন সংঘবদ্ধ হয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলব। তিনি আরও বলেন, স্বল্প সময়ের ভেতরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বোঝার চেষ্টা করেছি। তাদের দাবি ও সমস্যা নিয়ে ইশতেহার প্রণয়ন করেছি। আবাসন সমস্যা, গবেষণা প্রভৃতি বিষয় তুলে ধরে তা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছি।

প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী বলেন, নির্বাচনে আমাদের জয় বা পরাজয় মুখ্য নয়। শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকারের প্ল্যাটফর্ম ডাকসু চালু হবে, সেটিই মুখ্য। শুরু থেকেই আমরা এক ধরনের প্রশাসনিক প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে চলছি। প্রশাসন আমাদের দাবি না মেনে নির্দিষ্ট একটি দলের কথাই শুনছে। এ ছাড়া বিভিন্ন হলে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়েছি। ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আমাদের ব্যানার সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। তবে শিক্ষার্থীরা যদি ভোট দিতে আসেন, তাহলে তাদের সম্মিলিত প্রতিবাদে এসব অপকৌশল ও চক্রান্তকে রুখে দেওয়া যাবে বলে বিশ্বাস করি। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের সূচনা হবে বলে প্রত্যাশা করি।

‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদে’র ভিপি প্রার্থী নুরুল হক নুর অভিযোগ করেন, তাদের বিভিন্ন প্রার্থীকে নানাভাবে বাধা ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার কথাও বলা হচ্ছে। অন্যদিকে প্রশাসনের বিমাতাসুলভ আচরণে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সবার মধ্যেই শঙ্কা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে প্রশাসন সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা সবার। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ডাকসু বন্ধ থাকায় ছাত্রদের দাবি ও অধিকার বারবার উপেক্ষিত হয়েছে। ক্যাম্পাসে একটি লেজুড়বৃত্তির রাজনীতির বিকাশ ঘটেছে। এখন শিক্ষার্থীরা চান ডাকসু তাদের অধিকার আদায়ের প্ল্যাটফর্ম হোক। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনীতিচর্চার পুণ্যভূমি হিসেবে পুনরায় স্থাপন করতে চাই।

প্রার্থীদের মতো সাধারণ শিক্ষার্থীরাও চান সুষ্ঠু ভোট। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেজাবিন আক্তার মিলি বলেন, আবাসিক হলে ভোট দেওয়া নিয়ে নানা শঙ্কায় ভুগছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনের পর যে নেতৃত্ব আসবে তারা যেন শিক্ষার্থীবান্ধব হন, সেই আশা করি। আইন বিভাগের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান বলেন, ভয়-ভীতি শঙ্কামুক্ত পরিবেশে ছাত্রদের স্বাধীন মতপ্রকাশের নিশ্চয়তা যারা দিতে পারবেন তাদেরই ডাকসুর নেতৃত্বে চাই। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফ আলী বলেন, যারা হলের গেস্টরুম সংস্কৃতির বিলুপ্তি সাধন, খাবার মান উন্নতকরণ, আবাসন সমস্যার সমাধান নিয়ে কাজ করবেন, তাদের বিজয় দেখতে চাই।

সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. এস এম মাহফুজুর রহমান সমকালকে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে করার ব্যাপারে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এর জন্য যা করার সেগুলো করব। ইতিমধ্যে বেশকিছু প্রক্রিয়া শেষ করেছি। আশা করি সময়ের আগেই সবকিছু হবে।

প্রশাসনের প্রস্তুতি : বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা এখন ভোটের অপেক্ষায় রয়েছি। নিরাপত্তা, ব্যালট, প্রার্থিতা, হল ম্যানেজমেন্ট, বুথ ও কেন্দ্র সব নির্ধারিত হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী, হাউস টিউটর, প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, প্রক্টরিয়াল বডি, বিশ্ববিদ্যালয়ের মোবাইল টিম, মোবাইল পুলিশ এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবেন। সঙ্গে আর্চওয়ে, ক্যামেরা ও সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। এগুলোর মাধ্যমেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। তবে প্রয়োজন ছাড়া পুলিশ থাকবে না।

জানা যায়, নির্বাচনে ‘সময়’ ও ‘শিক্ষার্থী’র সংখ্যা বিবেচনায় বিভিন্ন হলে পোলিং বুথ বসানো হবে। এর মধ্যে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে ২০টি, কবি জসীমউদ্‌দীন হলে ২০টি, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৩৫টি, সূর্য সেন হলে ৩৫টি, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ৩০টি, রোকেয়া হলে ৫০টি, কবি সুফিয়া কামাল হলে ৪৫টি, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ২২টি, স্যার এ এফ রহমান হলে ১৬টি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ২৪টি, অমর একুশে হলে ২০টি, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ২২টি, বিজয় একাত্তর হলে ৪০টি, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ১৯টি, জগন্নাথ হলে ২৫টি, ফজলুল হক মুসলিম হলে ৩৫টি পোলিং বুথ বসানো হবে। তবে শামসুন নাহার হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের তথ্য পাওয়া যায়নি।

হল প্রশাসনের প্রস্তুতির ব্যাপারে সূর্য সেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, প্রস্তুতি এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দপূর্ণ উত্তেজনা বিরাজ করছে। তারা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করা হয়েছে। ভোটকক্ষ প্রস্তুত করা এবং যে শিক্ষকরা দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের সব বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে নির্বাচনের জন্য একটি পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়া আছে। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন অনুযায়ী পোলিং বুথ বসানো হবে।

ভোট গ্রহণের সময় বাড়ল না : ভোট গ্রহণের সময় বাড়ানোর দাবি করেছিল ছাত্রলীগ ছাড়া প্রায় সব ছাত্র সংগঠন। নির্ধারিত সময় সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে সব ভোটারের ভোট দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। কেননা, প্রত্যেক ভোটারকে ৩৮টি করে ভোট দিতে হবে। ৪৩ হাজার ভোটারের পক্ষে এই স্বল্প সময়ে ভোট দেওয়া প্রায় অসম্ভব। সেজন্য ছাত্র সংগঠনগুলো ভোট গ্রহণের সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন। তবে প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে, দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে (প্রতিটি হল) প্রবেশ করতে পারলে যত সময়ই লাগুক, সবার ভোট গ্রহণ করা হবে।

অধ্যাপক এসএম মাহফুজুর রহমান বলেন, হলের ভেতরে যতক্ষণ ভোটার থাকবে ততক্ষণ ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকবে। প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, দুপুর ২টার মধ্যে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করলেই ভোটাররা ভোট দিতে পারবে। এক্ষেত্রে যতক্ষণ ভোটার থাকবে ততক্ষণ ভোটগ্রহণ চলবে।

‘ওএমআর’-এ ভোট গ্রহণ : প্রার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন (ওএমআর) ফর্মে। ডাকসুতে ২২৯ জন প্রার্থী হলেও একটি ওএমআর ফর্মেই সেটা অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব বলে জানিয়েছে প্রশাসন। আর হলগুলোর প্রার্থীর সংখ্যা অনুসারে আলাদা আলাদা ব্যালট হবে। ওএমআর ফর্মে ভোট হলে গণনার কাজও সহজ হবে।

অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, আমরা ওএমআর ফর্মে ভোট নিচ্ছি। ডাকসু এবং হল সংসদের জন্য দুটি ব্যালটে প্রত্যেককে ভোট দিতে হবে। প্রতিটি পদে আলাদাভাবে ব্যালট নম্বর ও প্রার্থীর নাম থাকবে। এক্ষেত্রে নামের পাশে থাকা বৃত্তে ক্রস চিহ্ন দিয়ে প্রার্থী বাছাই করতে হবে।

Pin It