সমীকরণ ছিল ভীষণ কঠিন। ৪ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৮০ রান। ইশান কিষান ও কাইরন পোলার্ডের ব্যাটে সেটাও প্রায় মিলিয়ে ফেলেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। শেষ বলে বাউন্ডারিতে ম্যাচ সুপার ওভারে নেন পোলার্ড। সেখানে শেষ বলে বিরাট কোহলির বাউন্ডারিতে দারুণ এক জয় তুলে নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার ৩ উইকেটে ২০১ রান করে ব্যাঙ্গালোর। জবাবে ৫ উইকেটে ২০১ রানে থামে মুম্বাই। আইপিএলের চলতি আসরে এটি দ্বিতীয় টাই।
পোলার্ড শুরুতে ছিলেন শান্ত। প্রথম ১০ বলে ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের রান ছিল ১১। শেষ ৪ ওভারে ৭৯ রান নিয়ে ম্যাচ সুপার ওভারে নেওয়ায় তার অবদানই বেশি।
ব্যাঙ্গালোরের ফিল্ডারদেরও অবশ্য যথেষ্ট দায় আছে। ডানা মেলার শুরুতেই অ্যাডাম জ্যাম্পাকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে জীবন পান পোলার্ড। ছিল সহজ ক্যাচ, সেটা ছক্কা বানিয়ে দেন পবন নেগি। অস্ট্রেলিয়ান লেগ স্পিনারের সেই ওভারের শেষ বলে যুজবেন্দ্র চেহেলের হাতে আবার জীবন পান পোলার্ড।
চেহেলের পরের ওভারে পোলার্ডের দুই ছক্কা আর কিষানের এক ছক্কায় আসে ২২ রান। ১৯তম ওভারে দারুণ বোলিংয়ে ১২ রান দিয়ে ব্যাঙ্গালোরের আশা বাঁচিয়ে রাখেন নবদিপ সাইনি।
শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। ইসুরু উদানার প্রথম দুই বলে আসে দুটি সিঙ্গেল। তৃতীয় বলে ক্যাচের সুযোগ ছিল, কিন্তু সীমানার বেশ ভেতরে থাকা গুরকিরাত সিং মুঠোয় জমাতে পারেননি, কিষাণ পেয়ে যান ছক্কা।
পরের বলে আরেক ছক্কায় এই তরুণ পৌঁছে যান ৯৯ রানে। ছক্কায় ম্যাচ শেষ করার চেষ্টায় ধরা পড়েন সীমানায়। ৫৮ বলে খেলা তার ৯৯ রানের ইনিংস সাজানো নয় ছক্কা ও দুই চারে। এরপর শেষ বলে পোলার্ডের সেই বাউন্ডারিতে ম্যাচ হয় টাই। ২৪ বলে পাঁচ ছক্কা ও তিন চারে ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
এই দুই জন ছাড়া মুম্বাইয়ের আর কোনো ব্যাটসম্যান ১৫ ছাড়াতে পারেননি।
এই ম্যাচেও ৪ ওভারে স্রেফ ১২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন ওয়াশিংটন সুন্দর।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ফিফটিতে শুরুটা ভালো করে ব্যাঙ্গালোর। ৯ ওভারে ৮১ রানের উদ্বোধনী জুটিতে অগ্রণী ছিলেন অ্যারন ফিঞ্চ। ৩৫ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় করেন ৫২ রান। আরেক ওপেনার দেবদুত পাডিক্কাল ৪০ বলে করেন ৫৪।
রানের গতিতে দম দেওয়ার কাজটা করেন এবি ডি ভিলিয়ার্স ও শিবম দুবে। ২৪ বলে চারটি করে ছক্কা ও চারে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন ডি ভিলিয়ার্স। এক চার ও তিন ছক্কায় দুবে করেন অপরাজিত ২৭ রান।
সুপার ওভারে ব্যাঙ্গালোরের নায়ক সাইনি। পোলার্ডকে হারিয়ে কেবল ৭ রান করতে পারে মুম্বাই। জাসপ্রিত বুমরাহর ওভারে শেষ বলে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলেন বিরাট কোহলি ও ডি ভিলিয়ার্স।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: ২০ ওভারে ২০১/৩ (পাডিক্কাল ৫৪, ফিঞ্চ ৫২, কোহলি ৩, ডি ভিলিয়ার্স ৫৫*, দুবে ২৭*; বোল্ট ৪-০-৩৪-২, প্যাটিনসন ৪-০-৫১-০, চাহার ৪-০-৩১-১, বুমরাহ ৪-০-৪২-০, পান্ডিয়া ৩-০-২৩-০, পোলার্ড ১-০-১৩-০)
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স: ২০ ওভারে ২০১/৫ (রোহিত ৮, ডি কক ১৪, যাদব ০, কিষান ৯৯, হার্দিক পান্ডিয়া ১৫, পোলার্ড ৬০*, ক্রুনাল পান্ডিয়া ০*; উদানা ৪-০-৪৫-২, সুন্দর ৪-০-১২-১, সাইনি ৪-০-৪৩-০, চেহেল ৪-০-৪৮-১, জ্যাম্পা ৪-০-৫৩-১)
ফল: ব্যাঙ্গালোর সুপার ওভারে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: এবি ডি ভিলিয়ার্স