জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা কূটনীতিকদের সাথে বৈঠক করলেও তাদেরকে বিভ্রান্ত করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
বুধবার সচিবালয়ে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভারসিটি অব ওয়েস্টার্নের শিক্ষক-বিজ্ঞানীদের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
শীর্ষ নেতা কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বুধবার বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন খানের গুলশানের বাসায় বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট ডিকসনসহ কয়েকটি দেশের কূটনীতিক ও বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকের পর গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন জানিয়েছেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, কারাবন্দি খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা এবং ফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য মঈনুল হোসেনকে কারাগারে পাঠানোসহ নানা বিষয়ে কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
এই বৈঠককে কিভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নে কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক বলেন, “সব দেশের নেতাদের সাথে কথা হয়েছে, তারা দেশের উন্নয়নকে সমর্থন করছে। তারা অবশ্যই বিনা বিচারে কোনো হত্যা হলে, আইনের লঙ্ঘন হলে, সেটাকে তারা সমর্থন করে না। দেশে ন্যায়ের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হোক এটা সব কূটনীতিকরা চায়।
“ডিপ্লম্যাটদের সাথে তারা মত বিনিময় করছে, কোনো খারাপ দৃষ্টিতে দেখি না, তবে মনে করি তাদের বিভ্রান্ত করতে পারবে না।”
কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনায় কোনো বাধা নেই জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “আমরাও তাদের সাথে কথা বলব, যদি তারা বিভ্রান্তকর কোনো চিত্র দেয় তাহলে কূটনীতিকরা যথেষ্ট সচেতন ও প্রজ্ঞাবান, সেটা তারা বুঝবে।”
নতুন কোন চাপের বিষয় আসবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা তো সব সময় আলাপ আলোচনা করি..তারা আমাদের উৎসাহিত করে.. ওইভাবে আমরা তো বিদেশিদের উপরে..একনেকে প্রতি সপ্তাহে ৮ হাজার, ৯ হাজার, ১০ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট হচ্ছে। সবই তো আমাদের অর্থায়নে।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “নির্বাচনের আগে বিএনপি ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়ে এক সঙ্গে নির্বাচন করেছে। তারপর থেকে তারা বলে আসছে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আন্দোলনে যাবে। তবে এ বিষয়ে কোনো সমাধান নেই। এছাড়া আন্দোলন করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে এবং তাদের ভাষায় গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করবে বলে থাকে।
“প্রথমত বেগম খালেদা জিয়া কোনো রাজনৈতিক কারণে জেলে যাননি, তিনি দুর্নীতির কারণে জেলে গেছেন। এতিমদের টাকা চুরি করায় তার সাজা হয়েছে। তাকে জেল থেকে বের করতে হলে আইনের মাধ্যমে বের করে আনতে হবে। আন্দোলন করে তারা বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশে মুক্ত করতে পারবে না।”