কৃষকের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজেপির ইশতেহার

লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট শুরু বৃহস্পতিবার। একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে ইশতেহার প্রকাশ করলো ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ।

bjp-5caaf6378703b

সোমবার ইশতেহার অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপির সভাপতি অমিত শাহসহ দলের অন্যান্য নেতারা। খবর এনডিটিভির।

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নয়, এই ইশতেহারকে ‘সংকল্প পত্র’ বলছে বিজেপি। ইশতেহারে ২০২০ সালের মধ্যে সবাইকে গৃহের নিশ্চয়তা দিয়েছে গেরুয়া শিবির। আগামী বছরের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দলটি।

ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে দলটির সভাপতি অমিত শাহ বলেন, গত পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশের উন্নয়নের জন্য ৫০টি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২০১৪-২০১৯ সালের এই যাত্রায় মোদি দেশকে পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘সংকল্প পত্র’ তৈরির সময় আমরা ৬ কোটি মানুষের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছি। ২০১৪ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তখন  ভারত বিশ্বে ১১তম অর্থনীতির দেশ ছিলো। এখন এই অবস্থান পাঁচে এসে দাঁড়িয়েছে।

ইশতেহার প্রকাশের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, অন্যান্য রাজনৈতিক দল তাদের ইশতেহারে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এতে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আমরা এই বিশ্বাসযোগ্যতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি এবং উৎরে গেছি।

২০১৪ সালে নয় ধাপের নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট শুরুর দিন ইশতেহার প্রকাশ করে বিজেপি।

এবার নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দেয়, ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোনো দল তার ইশতেহার প্রকাশ করতে পারবে না। এরপরই এ নিয়ে তৎপরতা বাড়ে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে।

এবার কংগ্রেস ইশতেহারে তাদের ‘ন্যায়’ প্রকল্পের কথা জোর দিয়ে প্রকাশ করেছে। দলটির ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, ন্যূনতম আয় যোজনা বা ‘ন্যায়’ বাস্তবায়ন করে দরিদ্রদের ব্যাংক খাতায় বছরে ৭২ হাজার কোটি রুপি জমা করা হবে। ২২ লাখ সরকারি শূন্য পদে চাকরি দেওয়া হবে। গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোয় খালি রয়েছে ১০ লাখের বেশি পদ। সেখানে লোক নিয়োগ করা হবে। দরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পকে ১৫০ দিন করা হবে।

এদিকে বিজেপি কৃষক, তরুণ ও নারীদের কথা মাথায় রেখে ইশতেহার প্রকাশ করেছে।

দেশের নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলির ওপরেও ইশতেহারে জোর দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এবার সাত ধাপে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রথম দফায় আগামী ১১ এপ্রিল ২০টি রাজ্যের ৯১ আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে। ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় ধাপে ১৩ রাজ্যের ৯৭ আসনে, ২৩ এপ্রিল তৃতীয় ধাপে ১৪ রাজ্যের ১১৫ আসনে, ২৯ এপ্রিল চতুর্থ ধাপে ৯টি রাজ্যের ৭১ আসনে, ৬ মে পঞ্চম ধাপে ৭ রাজ্যের ৫১ আসনে, ১২ মে ষষ্ঠ ধাপে ৭ রাজ্যের ৫৯ আসনে এবং ১৯ মে সর্বশেষ ধাপে ভোট হবে ৮ রাজ্যের ৫৯ আসনে।

সাত ধাপে ভোটগ্রহণের পর ২৩ মে ভোট গণনা করে ফল প্রকাশ করা হবে।

Pin It