কৃষিকে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত উল্লেখ করে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ খাতকে বেশ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি খাতে বরাদ্দ ও ভর্তুকি বাড়ানো হয়েছে। কৃষকদের কৃষি উপকরণ ও ভর্তুকি সহায়তা অব্যাহত রাখাসহ বাজেটে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ভর্তুকি বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সার বীজ, কীটনাশক ও কৃষি যন্ত্রাংশ আমদানিতে শূন্য শুল্কহার অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। সারের দাম অপরিবর্তিত রাখার কথা বলা হয়েছে। কৃষকদের ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণে চাল আমদানির ওপর বিদ্যমান সব্বোর্চ ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ও সম্প্রতি আরোপিত ২৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি অব্যাহত রাখা ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি খাতে মোট বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ২৮ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট ২৬ হাজার ২৫৯ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়। পরে সংশোধিত বাজেটে তা ২৫ হাজার ৩৫২ টাকায় দাঁড়ায়। ফলে প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি খাতে মোট বরাদ্দ বেড়েছে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
কৃষি খাতে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি ভর্তুকি ও প্রণোদনা হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে ৯ হাজার ১ কোটি টাকা। চলতি অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটে এ বরাদ্দের পরিমাণ ৮ হাজার ৭০ কোটি টাকা। পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি ভর্তুকি বেড়েছে ৯৩১ কোটি টাকা।, যা ভর্তুকি খাতে মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় কৃষি ভর্তুকিতে ৯ হাজার কোট টাকার প্রস্তাব করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, দেশের শ্রমশক্তির ৪০ দশমিক ৬২ শতাংশ কৃষিক্ষেত্রে নিয়োজিত। কৃষি পুনর্বাসন, সহজ শর্তে কৃষি ঋণ অব্যাহত থাকবে। বর্তমানে দেশে কৃষি উপকরণ সহায়তা প্রাপ্ত কার্ডধারীর সংখ্যা ২ কোটি ৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৭৭ জন।
কৃষিপণ্য রফতানিতে ২০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা ও কৃষি ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ চালিত সেচ যন্ত্র ব্যবহারে ২০ শতাংশ রিবেট প্রদান অব্যাহত রাখারও প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। কৃষিকে বাংলাদেশের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে যতই বাড়ুক না কেন সরকার দেশের কৃষকদের জন্য দাম অপরিবর্তিত রাখবে। সার বীজ, কীটনাশক ও কৃষি যন্ত্রাংশ আমদানিতে শূন্য শুল্কহার অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এবার খামার ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ভর্তুকি প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ আমদানি খাতে ৫ হাজার ২০১ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।