বাংলাদেশের কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত ও বাণিজ্যিকীকরণে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্বব্যাংক ও মিশরের বিনিয়োগকারীরা। একইসঙ্গে তারা কৃষি খাতে বিনিয়োগেরও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) কৃষি মন্ত্রণালয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের দপ্তরে বিশ্বব্যাংকের অনুশীলন ব্যবস্থাপক লরাইন রনচি ও মিশরের রাষ্ট্রদূত ওয়ালিদ আহমেদ শামসেলদিন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তারা এ আগ্রহের কথা জানান।
পরে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঢাকা ও কায়রোর মধ্যে বোঝাপড়াটা চমৎকার এবং সম্পর্কটাও অনন্য উচ্চতায়। আমরা আমাদের কৃষিপণ্যের নতুন বাজার খুঁজছি। ব্যবসা ও বাণিজ্য দু’দেশের সম্পর্কের সব সম্ভাবনাকে কাজে লাগতে সচেষ্ট রয়েছে বাংলাদেশ। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের কৃষি খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রদূত। এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিশরের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার কথাও জানান মিশরের রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনায় মিশরের সাম্প্রতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন কৃষিমন্ত্রী। বাংলাদেশ-মিশর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন অবস্থা তৈরির কথা বলেন মন্ত্রী।
মিশরের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য মিশরের বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ রয়েছে। এসময় বাংলাদেশের সঙ্গে মিশরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি ও পর্যটন বিষয়ে সাধ্যমতো কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন রাষ্ট্রদূত।
এর আগে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিশ্বব্যাংকের অনুশীলন ব্যবস্থাপক লরাইন রনচির প্রতনিধি দল। এসময় বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশকে কৃষি প্রক্রিয়াজাত ও বাণিজ্যিকীকরণে সহায়তার আশ্বাস দেন।
তখন কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের (এমডিজি) প্রায় সব সূচকে সাফল্য অর্জন করেছি। এখন ডেল্টাপ্ল্যান বাস্তবায়নের পথে বাংলাদেশ। টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে জলবায়ু পরিবর্তন ও তা মোকাবিলায় অভিযোজন কার্যক্রমে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ ও আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন কৃষিমন্ত্রী।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন প্রবীণ কৃষি অর্থনীতিবিদ ক্রিশ্চান বার্জার ও সামিনা ইয়াসমিন প্রমুখ।