ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে গড়েছেন সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলার রেকর্ড। এরপর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ট্রিপল সেঞ্চুরি পাওয়া তামিমকে নিয়ে সেন্ট্রাল ও ইস্ট জোনের ক্রিকেটাররা ইতিহাস হয়ে যাওয়া মুহূর্তটা উদযাপন করেন।
তামিম বিসিএলের অষ্টম পর্বে খেলেন হার না মানা ৩৩৪ রানের ইনিংস। এর আগে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে ৩১৩ রানের ইনিংস খেলেন রাকিবুল হাসান। ২০০৭ সালে তার সেই ইনিংসকে ছাড়িয়ে যান বাংলাদেশে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে আসা কুমার সাঙ্গাকারা। তামিম এবার ছাড়িয়ে গেলেন দু’জনকেই।
বিসিএলের এই ম্যাচে আবার রাকিবুল ছিলেন মাঠে। বাঁ-হাতি ওপেনার তামিম তার দলের বিপক্ষেই ভাঙেন রেকর্ড। মাঠে তামিমকে অভিনন্দন জানাতে আগে এগিয়ে আসেন রাকিবুল। ম্যাচ শেষে রাকিবুলকে নিয়েই কেক কাটেন তামিম। প্রথমে তামিমকে কেক খাইয়ে দেন রাকিবুল নিজে। ওই কেকে খেলা ছিল, ‘৩৩৪ নট আউট।’
জাতীয় লিগের ম্যাচ শেষে ক্রিকেটাররা সাধারণত সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন না। কিন্তু জাতীয় লিগে ইতিহাসে নাম তোলা, কেক কাটার পরে সাংবাদিকদের সামনে কিছু কথা বলতেই হলো দেশ সেরা ওপেনার তামিমকে, ‘আপনারা অনেকে অভিযোগ করেন, জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ঘরোয়া লিগে খেলতে চায় না। কিন্তু সারা বছর জাতীয় দলের হয়ে খেলে আবার ঘরোয়া লিগে খেলার পরিশ্রম অনেক সময় আমাদের শরীর নিতে পারে না। তবে আমি মনে করি, সুযোগ থাকলে সবারই খেলা উচিত।’
নিজের ট্রিপল সেঞ্চুরি নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই ওপেনার বলেন, ‘ওভাবে কখনো ভাবিনি যে রাকিবুলের রেকর্ড ভাঙবো। তবে আমরা বলাবলি করতাম, তিনশ’ রান করার মতো ধৈর্য্য ও কিভাবে রাখল। তিনশ’ রান আসলে বড় কিছু। যেকোন উইকেটে এটা করা সহজ নয়। আর আমাদের এখানকার উইকেট স্লো, স্পিন বেশি করে, আউটফিল্ডও স্লো। সেই হিসেবে এটা কঠিন ছিল।’
ট্রিপল সেঞ্চুরির পথে ছোটা তামিমকে এ ম্যাচে রাকিবুল স্লেজিং করেছেন কি-না এমন প্রশ্ন করা হয়। তামিমের মুখে কথার কেড়ে নিয়ে রাকিবুল বলেন, ‘ব্যাটিং করে মূলত ওই আমাকে স্লেজিং করেছে।’ আর তামিম মজা করে বলেন, ‘সবার চেয়ে ওই বেশি আমার আউটের কামনা করেছে।’