কেপ টাউনের বারুদে ডারবানে জ্বলে ওঠার আশা

jamie-siddons-domingo-270322-01

তাজা ঘাসে ভরা উইকেট। গতি, সুইং আর বাউন্সে ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা। জিমে ঘাম ঘরানো। বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে শুধু টেস্ট দলে থাকা ক্রিকেটাররা কেপ টাউনের ক্যাম্পে প্রস্তুতি নিয়েছে এভাবেই। ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সের বিশ্বাস, দারুণ এই প্রস্তুতির সুফল মিলবে টেস্ট সিরিজে।

সূচিতে ওয়ানডে সিরিজ আগে হলেও এবার শুধু টেস্ট দলে থাকা ক্রিকেটাররাও ওয়ানডে দলের সঙ্গেই যায় দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকসহ ওই ক্রিকেটাররা নিবিড়ভাবে অনুশীলন করেন সাবেক ক্রিকেটার ও এখন খ্যাতিমান কোচ গ্যারি কার্স্টেনের ক্রিকেট একাডেমিতে।

ব্যাটিং কোচ সিডন্সের তত্ত্বাবধানেই চলে এই ক্যাম্প। তবে শুরুর দিকে কোচিং করান স্বয়ং কার্স্টেনও। এছাড়াও ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক, যিনি কার্স্টেন একাডেমিরও কোচ।

ওই ক্যাম্প এখন শেষ। তবে সিডন্সের মনে রয়ে গেছে রেশ। দল এখন প্রথম টেস্টের শহর ডারবানে। সেখানেই রোববার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সিডন্স শোনালেন প্রস্তুতি ক্যাম্পের বিস্তারিত।

“কেপ টাউন দুর্দান্ত ছিল (ক্যাম্প)। আবহাওয়া ছিল নিখুঁত। ৯ জন ছিল ক্যাম্পে, পরে ২ জন দেশে ফিরে যায় (স্কোয়াডের বাইরে থাকা মোহাম্মদ মিঠুন ও রেজাউর রহমান রাজা)। দক্ষিণ আফ্রিকার আবহাওয়া ও পিচ কন্ডিশন সম্পর্কে যেভাবে ধারণা হয়েছে, ভালো কয়েকজন নেট বোলার ছিল, আমাদের বোলাররা তো ছিলই, ব্যাটসম্যানরা দারুণ কাজ করেছে।”

“কোচিংও দারুণ হয়েছে, গ্যারি কার্স্টেন ছিল, রায়ান কুক ও আমি কাজ করেছি মুমিনুল ও সাদমানসহ সবার সঙ্গে আলাদা করে, সব মিলিয়ে কার্যকর ১০টি দিন ছিল। কঠোর অনুশীলন, জিম সেশন, অনুশীলনের দারুণ সুযোগ-সুবিধা। আশা করি, মুমিনুল ও সাদমানরা টেস্টের জন্য দারুণ প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে।”

যদিও খুব বেশি ক্রিকেটার ছিলেন না ক্যাম্পে, ম্যাচ পরিস্থিতির মতো করে অনুশীলনের সুযোগও হয়নি সেভাবে, প্রস্তুতিতে তবু যথেষ্ট ঝাঁঝ ছিল বলেই দাবি সিডন্সের। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে কার্যকর প্রস্তুতি হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

“ব্যাট-বলের মুখোমুখি লড়াইটা তীব্রই ছিল। চকচকে নতুন বল, সবুজ ঘাসের উইকেট… ঠিক ম্যাচ পরিস্থিতি নয়, তবে ব্যাট-বলের লড়াইটা ম্যাচের মতোই হয়েছে। নতুন বলে আমাদের দুই পেসার দুই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে বল করেছে, এরকম কিছুই দরকার ছিল ওদের।”

“দক্ষিণ আফ্রিকার বাড়তি বাউন্সে কিভাবে বল ছাড়তে হয় বা ডিফেন্স করতে হয়, ঢাকা-চট্টগ্রামের চেয়ে অনেক বেশি বাউন্স এখানে, স্টাম্পের ওপর দিয়ে ছাড়া বা বাইরের বল ছাড়া, ভালোভাবে ঠেকানো, বাজে বলকে সীমানায় পাঠানো, এসবই অনুশীলন হয়েছে।”

বৃষ্টিভেজা মাঠের কারণে এ দিন অনুশীলন করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু বৃহস্পতিবার।

Pin It