করদাতার সংখ্যা বাড়িয়ে আগামী এক বছরে এক কোটি মানুষের কাছ থেকে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের প্রতিটি উপজেলায় রাজস্ব অফিস স্থাপনেরও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর এবং সংশ্লিষ্ট আর্থিক খাতের সাবেক ও বর্তমান সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইফতার পরবর্তী বৈঠকের পর সাংবাদিকদের একথা বলেন অর্থমন্ত্রী। রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠক হয়।
বৈঠকে গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ সচিব আব্দুর রওফ তালুকদার, ইআরডি সচিব মো. মনোয়ার আহমেদ, বিএসইসির চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেন, সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন, সাবেক ডেপুটি গভর্নর আল্লাহ মালিক কাজেমি, সাবেক এসইসি চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলামসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “দেশে চার কোটি মানুষ যারা আয়কর দেওয়ার উপযুক্ত কিন্তু কর দিচ্ছে না, তাদের যদি আমরা আস্তে আস্তে কর নেটের আওতায় নিয়ে আসতে পারি তাহলে আমাদের রাজস্ব আহরণ অনেক বাড়বে। আগামী এক বছরে এক কোটি মানুষকে করের আওতায় নিয়ে আসা আমাদের লক্ষ্য। এরপরে আস্তে আস্তে বাড়ানো হবে।”
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ইটিআইএনধারীর (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার) ৪০ লাখের মতো এবং তাদের মধ্যে কর দেন ১৫ লাখের মতো।
আগামী বছর থেকে দেশের সব উপজেলায় রাজস্ব অফিস স্থাপনের ঘোষণা দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “এমনকি কোনো কোনো উপজেলায় চাহিদার ভিত্তিতে তিন থেকে চার জায়গায়ও যেখানে চাহিদা রয়েছে সেখানে রাজস্ব অফিস হতে পারে।
“এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, কর ব্যবস্থা সহজ করে সবাইকে করের আওতায় নিয়ে আসা। তবে করের হার বাড়ানো হবে না “
এ সময় মির্জ্জা আজিজ বলেন, “করের আওতা সম্প্রসারণ করা লাগবে। এসএমই ফাইন্যান্সিংয়ে কী সুবিধা দেওয়া যায়, তা দেখতে হবে। এছাড়াও স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বৈষম্য রোধে অগ্রাধিকার দিতে হবে।”