ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, কোনো ধরনের গাফিলতি সহ্য করা হবে না। আমাদের কাছে অভিযোগ এলে সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।
বুধবার ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটির ভোটকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। সিইসি আরও বলেন, এই পর্যন্ত ভোটের পরিবেশে সন্তোষজনক। ভবিষ্যতে কারও বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নূরুল হুদা বলেন, সবার নজর এখন ঢাকা সিটির ভোটের দিকে। আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। ভোটে সবাই মহাউৎসবের আমেজে রয়েছে। এর যথাযথ গুরুত্ব অনুধাবন করে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।
এ সময় ভোটের মাঠে যে কোনো অভিযোগ সঠিকভাবে মিটিয়ে ফেলতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেন সিইসি।
ভোটের দু’দিন আগে থেকে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়েছে ইসি। সব মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অর্ধ লক্ষ সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা হয়েছে। সভায় সূচনা বক্তব্যে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরেন ইসি সচিব মো. আলমগীর। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আচরণবিধির গুরুতর লঙ্ঘন কিংবা গুরুতর নির্বাচনী অপরাধ সংগঠনের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। নির্বাচনের পরিবেশ-পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
সিইসির সভাপতিত্বে বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম বৈঠকে ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- মহাপুলিশ পরিদর্শক, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, র্যাব, আনসার ও ভিডিপি, ডিজিএফআই, এনএসআইয়ের মহাপরিচালক, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, ঢাকার পুলিশ সুপার, ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা।