করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক থেকে অতি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে রেখেছে সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-সিডিসি।
বাংলাদেশসহ মোট ৬১ দেশকে এই তালিকায় রেখে মহামারীর মধ্যে এসব দেশ ভ্রমণ না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের।
যদি এসব দেশে ভ্রমণ একান্তই করতে হয়, তবে কোভিড-১৯ টিকা নেওয়ার পরই তা করতে বলা হয়েছে।
গত বছর বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারী দেখা দেওয়ার পর বিশ্বের অধিকাংশ দেশই আন্তঃযোগাযোগ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিল।
ধীরে ধীরে যেসব দেশে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, সেসব দেশে ভ্রমণের পথ খুলছে।
সম্প্রতি সিডিসি বিশ্বের দেশগুলোর সংক্রমণ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে নাগরিকদের ভ্রমণ পরামর্শ দিয়েছে।
সংস্থাটি দেশগুলোকে মোট চারটি ভাগে ভাগ করেছে। পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ যেখানে, সেই দেশগুলোকে অতি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশের শ্রেণিতে রাখা হয়েছে। এরপরে রয়েছে যথাক্রমে- উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ, মোটামুটি ঝুঁকিপূর্ণ ও নিম্ন ঝুঁকিপূর্ণ।
বাংলাদেশ এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থার দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে।
গত বছর প্রাদুর্ভাবের পর মাঝে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাকাল এখন বাংলাদেশ। ভারতে উদ্ভূত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সীমান্তের জেলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে।
দেড় মাস পর দৈনিক শনাক্ত রোগী ফের আড়াই হাজারে
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার মধ্যে ঈদের আগে এমন গাদাগাদি দেখা গিয়েছিল ফেরিতে। ফাইল ছবি
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে বুধবার পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৮ লাখ ১৭ হাজার ৮১৯ জন। এই রোগে মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৯৪৯ জনের।
বাংলাদেশের পাশাপাশি সিডিসির অতি উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, মিয়ানমারের নাম রয়েছে।
ভারতেও করোনাভাইরাস মহামারী ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ। আক্রান্তের হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই ভারতের অবস্থান। ভারতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৭৬ হাজার মানুষের।
অতি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় থাকা এশিয়ার অন্য দেশগুলো হলো- বাহরাইন, ইরাক, কুয়েত, মঙ্গোলিয়া, উত্তর কোরিয়া, সৌদি আরব, সিরিয়া, উজবেকিস্তান ও ইয়েমেন।
সিডিসির তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভুটান রয়েছে মোটামুটি ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায়।
উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রয়েছে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের নাম।