কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়ার পর

coronavirus-model-reuters-190820-01

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার পর সাতটি বিষয় অবশ্যই মানা উচিত।

করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপি অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিদিন। অকালে মৃত্যুবরণ করছে হাজারও মানুষ। চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা এখনও আবিষ্কার করে যাচ্ছেন এই ভাইরাস সম্পর্কে নিত্য নতুন তথ্য।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড-১৯’য়ে আক্রান্তদের মধ্যে যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের গড়ে তিন সপ্তাহ সময় লেগেছে। তবে তাদের স্থায়ী স্নায়বিক ও মানসিক সমস্যা রয়ে যেতে পারে।

এই তথ্য এখনও জোর দিয়ে দাবি করা না গেলেও সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরা মানুষগুলো নিয়মিত তত্ত্বাবধানের আওতায় থাকা এবং যেকোনো উপসর্গের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা উচিত।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে জানানো হল সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের করণীয় ও বর্জণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে।

শরীরকে ধকল সামলানোর সময় দিতে হবে

সুস্থ হওয়া বা করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফলাফল ‘নেগেটিভ’ আসার সঙ্গে সঙ্গেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবেন এমনটা ভাবা বা করা কোনোটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। ভাইরাস মুক্ত হওয়ার পর পুনরায় সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে শরীরকে সময় দিতে হবে।

মস্তিষ্কের অনুশীলন

যেকোনো রোগে আক্রান্ত হলেই মনযোগ দেওয়ার ক্ষমতা কিছুটা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর করোনাভাইরাসের মতো নতুন রোগের আক্রান্ত একজন ব্যক্তি সুস্থ হওয়া যেন মৃত্যুকে ফাঁকি দেওয়া।

তাই মস্তিষ্ককে সচল করতে এবং কাজে মনযোগ ফিরিয়ে আনতে ধাঁধাঁর খেলা, স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর অনুশীলন ইত্যাদিতে সময় দিতে হবে।

মনে রাখতে হবে, বেশি চাপ প্রয়োগ না করে প্রতিদিন অল্প করে স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে মস্তিষ্ককে।

শারীরিক ও মানসিক সমস্যাকে অবহেলা না করা

মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি কিছু শারীরিক কিংবা মানসিক সমস্যা থাকতে পারে সুস্থ হওয়ার পরও। এগুলোকে রোগ পরবর্তী অস্বস্তি মনে করে সহ্য করে যাওয়া ঠিক হবে না।

যত সামান্যই হোক, চিকিৎসককে তা জানান। কারণ এর মাঝেই লুকিয়ে থাকতে ভয়ংকর কোনো রোগের পূর্বাভাস।

ওষুধ ঠিক করে নেওয়া

যারা বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছেন এবং প্রতিদিন ওষুধ খেতে হয় এমন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উচিত হবে সুস্থ হওয়ার পর চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে প্রতিদিনের ওষুধ ঠিক করে নেওয়া। প্রয়োজনে নতুন করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।

আপনি ‘প্রতিরোধী’ নন

কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়া শরীরে কিছুটা ‘অ্যান্টিবডি’ তৈরি হয়েছে ঠিক। তাই বলে আবার যে ভাইরাসের আক্রমণের শিকার হবেন না, তা এখন পর্যন্ত দাবি করতে পারেনি বিশেষজ্ঞরা। তাই আপনাকে ধরে নিতে হবে আবারও আক্রান্ত হওয়া সম্ভব।

তাই করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে।

শক্তি সঞ্চয় করুন

আরোগ্যলাভের এই পর্যায়ে ঠিক যে কাজগুলো না করলেই নয় সেগুলোতেই শুধু হাত দিন। বাকি কাজ পরে হবে। আগে বিশ্রাম নিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে হবে। শরীরের ওপর যতটা সম্ভব কম ধকল দিতে হবে।

সাহায্য নিন

সুস্থ অবস্থায় নিজের কাজের জন্য অপরের মুখাপেক্ষী না হওয়া যেমন ভালো তেমনি অসুস্থ বা সেরে ওঠার পর্যায়ে আশপাশের মানুষের সাহায্য না নেওয়াও বোকামি।

বিশেষ করে ঘরের বাইরে গিয়ে করতে হয় এমন কাজগুলো পরিবারের কাউকে দিয়ে করিয়ে নিতে পারলে খুব ভালো। ঘরে ভারি ও পরিশ্রমের কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

Pin It