মন-মেজাজের ওঠা-নামা অনেকটাই নির্ভর করে খাবারের মানের ওপর।
পেট শান্তি তো মনও খুশ- এটা শুধু কথার কথা নয়, বাস্তবও।
তবে সব ধরনের খাবার যে মনে আনন্দ দেবে তা নয়। অনেক খাবারই আছে যেগুলো মন বিগড়েও দিতে পারে।
পোল্যান্ডের ‘ম্যাজ ইন্সটিটিউট অফ ফার্মাকোলজি পোলিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস’য়ের করা গবেষণায় দেখা গেছে, “অতিরিক্ত পরিমাণে পরিশোধিত ময়দা, চিনি এবং লবণ খাওয়া হলে, মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। যে কারণে বিষণ্নতা ও উদ্বেগের সৃষ্টি হতে পারে।
খাবার ও মনের সম্পর্কের কথা অতি প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে উল্ল্যেখ করা আছে, বিশেষ করে খাবার এবং এই খাদ্যে থাকা উপাদান যেভাবে মানুষের অনুভূতিতে প্রভাব রাখে সেসবের কথা।
হার্ভার্ড হেল্থ পাবলিকেশন অনুযায়ী, আমাদের মস্তিষ্ক তখনই সবচেয়ে ভালো কাজ করে যখন উন্নত মানের খাবার খাওয়া হয়।
গাড়িতে ভালো তেল ভরলে যেমন ভালো চলে ঠিক তেমনি ভালো খাবার খেলে শরীর ভালো চলে।
চীনের উহান’য়ে অবস্থিত ‘হুয়াজং ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র গবেষকদের করা গবেষণায় দেখা গেছে- উন্নত অর্থাৎ ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সম্পন্ন খাবার মস্তিষ্ক সচল রাখে এবং ‘অক্সিডেভিট চাপ’ কমাতে সাহায্য করে।
চিন্তা-ভাবনা করার ক্ষমতার সাথে খাওয়ার যে সম্পর্ক রয়েছে, সেটা অনেকেরই অজানা। ‘পরিষ্কার খাদ্য’ কেবল শরীরের পক্ষেই ভালো, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও প্রয়োজন।
মানব দেহের সেরোটোনিন, একটি নিউরোট্রান্সমিটার যা ঘুম ও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। অর্থাৎ এটা মানুষের মেজাজ ও পরিতৃপ্তির সঙ্গেও জড়িত।
হার্ভার্ড হেল্থ পাবলিকেশনে’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়- ৯৫ শতাংশ সেরোটোনিন ‘গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল ট্র্যাক’ বা পরিপাক তন্ত্র থেকে উৎপাদিত হয়।
এই নালী লক্ষ লক্ষ নিউরন দিয়ে গঠিত।
তাই যখন খাবার খাওয়া হয় তখন কেবল হজম প্রক্রিয়াই কাজ শুরু করে না পাশাপাশি আবেগের ওপরেও প্রভাব বিস্তার করে।