দুর্নীতির দুই মামলায় প্রায় আড়াই বছর পর মুক্তি পেয়ে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় অবস্থান করা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের সদস্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছেন।
এজেডএম জাহিদ হোসেন, “লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ম্যাডামের চিকিৎসা চলছে। এখন তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে।
“ম্যাডামকে পূর্ণাঙ্গ সুস্থ করতে দীর্ঘ সময় লাগবে এবং আধুনিক চিকিৎসার প্রয়োজন হবে।”
‘মানবিক বিবেচনায়’ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে গত ২৫ মার্চ মুক্তি পান খালেদা জিয়া।
২৫ মাসের কারাবাসের মধ্যে একবছর তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে মুক্তির পর হাসপাতাল থেকে ‘ফিরোজা’য় ওঠার পর থেকে কোয়ারেন্টিনে আছেন তিনি।
বাসায় আসার পর ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা কার্য্ক্রম শুরু হয়। নার্সসহ আরও কয়েকজনও রয়েছেন ‘ফিরোজা’র দ্বিতীয় তলায়।
৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া রিউমাটিজ আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখ ও দাঁতের নানা সমস্যায় ভুগছেন।
খালেদার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন, বিএনপি প্রধানের হাত-পায়ের ব্যথাটা বেশি। তার শারীরিক অসুস্থতাও অনেক বেশি। তিনি হাঁটতে পারেন না। ব্যথা উপশমের জন্য গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে থেরাপি দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এতে তার ব্যথার কিছুটা উপশম হচ্ছে।
চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিস এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তার সুস্থতার অগ্রগতি ধীর। এজন্য দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হবে।
তবে বাসায় আসারি পর থেকে তিনি মানসিকভাবে স্বস্তিবোধ করছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
‘করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বিগ্ন খালেদা’
একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, “করোনাভাইরাসের সংক্রমণের খবর দেশ-বিদেশের পত্র-পত্রিকায় দেখে উনার (খালেদা জিয়া) মন খারাপ হয়ে যায়। মানুষজনের কীভাবে হবে, তারা কীভাবে বাঁচবে, গরীবদের কী হবে, তাদের চাকরি থাকবে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে উনি উদ্বিগ্ন, এ নিয়ে উনি চিন্তিত। এতে উনার মনের ওপর চাপও পড়ছে।”