আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে আদালত জামিন দিলে সেক্ষেত্রে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়া, না দেওয়ার সম্পূর্ণ এখতিয়ার আদালতের। তাকে (খালেদা জিয়া) শাস্তি দিয়েছেন আদালত। জামিন দেওয়ার দায়িত্বও আদালতের। এক্ষেত্রে সরকারের তো কিছুই করার নেই।’
আজ সোমবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সব কর্সসূচি সফল করার লক্ষ্যে এই বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়।
‘আগামী সপ্তাহে আদালত খালেদা জিয়ার জামিন দেবে’, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিনি (মওদুদ) একজন বিজ্ঞ আইনজীবী, তিনি হয়তো ধারণা করেই বলেছেন। এক্ষেত্রে বিচার সম্পূর্ণটাই আদালত করেছেন। তাকে (খালেদা জিয়া) শাস্তি দিয়েছেন আদালত। জামিন দেওয়ার দায়িত্বও আদালতের। আমরা সবসময় আদালতকে সম্মান প্রদর্শন করি। তাই আদালতের রায় সর্বশেষ বিচার হিসেবে গণ্য হবে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিলীপ রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, জোড়াতালি দিয়ে আওয়ামী লীগ করবেন না। ত্যাগী কর্মীদের অবহেলা করবেন না। ত্যাগী কর্মীদের অবহেলা করলে আওয়ামী লীগ টিকবে না। ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। সুবিধাবাদীদের নিয়ে পকেট কমিটি করবেন না। পকেট কমিটি কোনো কাজে আসবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সুবিধাবাদীদের পার্টি না। দুঃসময় সুবিধাবাদী, বসন্তের কোকিলদের হাজারও বাতি জ্বালিয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে না। দলের স্বার্থে কাজ করুন। ত্যাগী, অসুস্থ ও অসচ্ছল কর্মীদের পাশে দাঁড়ান। কর্মীরা হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাণ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের আত্মা পড়ে আছে তৃণমূলে। অসংখ্য গরিব, দুঃখী, অসহায় কর্মীর ঘরে পড়ে আছে আওয়ামী লীগের আত্মা। আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। গরিব দুঃখী কর্মীদের ভালোবাসতে হবে। সহানুভূতি দেখাতে হবে। তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। প্রত্যেক নেতার মধ্যে মানবিক গুণাবলী থাকতে হবে।