বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশের জনগণ যাতে সরকারের জুলুমের শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে না পারে, সে জন্য তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে জোর করে কারান্তরীন করা হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের বিক্ষোভ মিছিল শেষ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
রহুল কবির রিজভী বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) গুরুতর অসুস্থ। অথচ তার জামিনে সরকার আদালতের ওপর হস্তক্ষেপ করে বাধা দিচ্ছে। যে মামলায় সরকার সমর্থক নেতারা ও সরকার দলীয় লোকজন অনায়াসে জামিনে বেরিয়ে আসছে একই মামলায় বেগম জিয়াকে দেড় বছর কারাগারে বন্দী রেখে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। জনগণ এই সরকারের প্রতিহিংসাপরায়নতায় ক্ষিপ্ত।
তিনি আরো বলেন, শাসকগোষ্ঠী জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে মাটিচাপা দিয়ে বিএনপিসহ সব বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসন যন্ত্র ও দলীয় সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশে ভয়াবহ নব্য বাকশালী দুঃশাসন জারি রাখা হয়েছে। জনগণ আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর লালিত অলিক-অবাস্তব স্বপ্ন কোনোদিনই বাস্তবায়িত হতে দেবে না।
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে রহুল কবির রিজভী বলেন, জনগণ আওয়ামী দুঃশাসনের কারণে তাদের ঘৃণা করে। এই ঘৃণার প্রতিশোধের অংশ হিসেবে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে জনগণের ওপর জুলুম চালাচ্ছে সরকার। দেশের সম্পদ লুট এবং জনগণের রক্ত চুষতে একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যাচ্ছে এই সরকার।
অবৈধ অর্থ উপার্জন করে সরকারের লোকজন ‘আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ’ হয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে রহুল কবির রিজভী বলেন, এই অনৈতিক সুযোগ করে দিচ্ছে সরকার। বর্তমান মধ্যরাতের ভোটের সরকার জনগণের ভোটে বিশ্বাসী না হওয়ার কারণে তারা জনগণ নয়, বরং নিজেদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের নীতিতেই বিশ্বাস করে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি গণবিরোধী সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে ভোক্তাপর্যায়ে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি বন্ধ করার জন্য দাবি জানান তিনি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করা না হলে জনগণের আন্দোলন ও ক্ষোভে-বিক্ষোভে বিএনপি শামিল হতে দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ।
এর আগে মহিলা দলের নেতাকর্মীদের একটি বিক্ষোভ মিছিল বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়। মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন রুহুল কবির রিজভী।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা দল সভানেত্রী রাজিয়া আলিম, উত্তরের সভানেত্রী পেয়ারা মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক আমেনা বেগম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক তাহমিনা শাহীন, মিলি জাকারিয়া, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মিনা বেগম মিনি, স্বনির্ভও বিষয়ক সম্পাদক জেসমিন জাহান, সহ দপ্তর সম্পাদক গুলশান আরা মিতা প্রমুখ