বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ কয়েকজন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছে আদালত।
আজ বুধবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরান এ দিন ধার্য করেন।
আজ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়া রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়নি। এ জন্য রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে। খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কয়লা উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি করা হয়। ওই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মৃত), সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (মৃত), সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মো. মুজাহিদ (মৃত), ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার (মৃত), এম শামসুল ইসলাম (মৃত), আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।
দুদকের দু’মামলায় গত বছর ১০ ও ৭ বছরের সাজা দেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। আপিলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদন্ড বেড়ে ১০ বছর এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালতে সাত বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হন তিনি।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয় খালেদা জিয়াকে। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন।