খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ছে

image-653936-1678651563

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুটি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। রোববার বিকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য জানান। এর আগে দুপুরে তিনি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে অবহিত করেন।

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুই বছর কারাগারে থাকার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি পান। খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনে দুটি মামলায় তার কারাদণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। দুটি শর্ত দেওয়া হয় তাকে-এক. বাসায় তথা দেশে থেকে তাকে (খালেদা জিয়া) চিকিৎসা নিতে হবে। দুই. তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। এরপর থেকে খালেদা জিয়া গুলশানে তার বাসায় রয়েছেন। মাঝে লিভার সিরোসিস ধরা পড়লে তাকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছিল।

২০২০ সালের পর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। তার মুক্তির মেয়াদ ২৪ মার্চ শেষ হবে। এ অবস্থায় কিছুদিন আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো এবং চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। এবারও ছয় মাসের জন্য তা বাড়ানোর সুপারিশ হলো।

রোববার আইনমন্ত্রী সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় শেষ হয়ে আসছিল, যার জন্য তারা (পরিবার) আবেদন করেছেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাকে আগের মতো দুটি শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ ৬ মাসের জন্য বৃদ্ধির সুপারিশ করেছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সুপারিশ করেছি। অতীতেও আমাদের সুপারিশের ভিত্তিতে সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আমার বিশ্বাস, এবারও তেমনই হবে।’

শর্তের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘শর্তগুলো হলো-তিনি ঢাকায় নিজের বাসা থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। হাসপাতালে যেতে পারবেন না, তা নয়। হাসপাতালে যেতে পারবেন। তবে দেশের বাইরে গমন করতে পারবেন না।’

খালেদা জিয়া বাসায় থেকে রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবেন কি না-সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তর সরাসরি না দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে যে দরখাস্ত এসেছে, তাতে বলা হয়েছে যে তিনি গুরুতর অসুস্থ। সে ক্ষেত্রে রাজনীতি করার প্রশ্নটা তো অবান্তর। তিনি মুক্ত, তিনি অসুস্থ, তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখানে রাজনীতির কথা আসাটা আমার মনে হয় প্রয়োজন নেই।’

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজায় কারাজীবন শুরু করেছিলেন খালেদা জিয়া। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজা হয়। তার বিরুদ্ধে আরও ৩৪টি মামলা রয়েছে।

Pin It