আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত আছেন বলেই মুক্তভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া সরকারের কাস্টডিতে নেই। তাঁর দন্ড স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি দুটো শর্তে সম্পূর্ণ মুক্ত। মুক্ত বলে তিনি মুক্তভাবে বাসায় থাকতে পারছেন।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে একটি আইন পাসের আলোচনায় বিএনপির সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপির সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন এর আগে বিলটির ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে অনুমতি দেয়ার দাবি জানান।
তিনি বলেন, প্রয়োজনে খালেদা জিয়ার বাসভবনকে সাব-জেল ঘোষণা করে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০৬ ধারায় খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো যায়।
এই বক্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ওনারা (বিএনপি) কেবল বলেন সাব-জেল বানিয়ে রাখা হয়েছে। ওনার বাসাটাকে কোনো জেলই বানানো হয়নি। ওনাদের (বিএনপির) তথ্যেই এতই বিভ্রাট, তা বুঝতে পারি না। এতই যদি ভালোবাসা থাকে, তাহলে তো তথ্যটি জেনে এখানে কথা বলতে পারেন। তারা সুপারফিশিয়ালি কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় দন্ডাদেশ স্থগিত করে তাঁকে (বেগম জিয়াকে) ছয় মাস করে মুক্তি দিয়েছেন। তিনি সম্পূর্ণ মুক্ত। সেখানে দুটো শর্ত যুক্ত ছিল, সেটা এখনো আছে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় যাঁকে মুক্তি দেয়া হবে, তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না, এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু দেখতে হবে এটা শর্তযুক্ত অথবা শর্তমুক্ত কি না। খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে, তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না, দেশে থেকে চিকিৎসা নেবেন। তিনি এখানকার যেখানে ইচ্ছা সেখানেই চিকিৎসা নিতে পারেন এবং সেটা তিনি নিচ্ছেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির সংসদ সদস্যরা বলছেন যে, তাঁদের নেত্রী কাস্টডিতে। ওনি কাস্টডিতে নেই। শি ইজ ফ্রি অ্যান্ড শি ইজ টেকিং ট্রিটমেন্ট অ্যাকর্ডিং টু হার উইল।’
আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি আগেও বলেছেন, একটা বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলে সেখানে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। ৪০১ ধারায় তাঁকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এখন সেখানে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। এটা করতে হলে তাঁকে মূল অবস্থায় (কারাগারে) যেতে হবে। তারপর হয়তো নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ৪০১ ধারার বিষয়ে বিএনপি থেকে যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে, আমার তার সঙ্গে দ্বিমত আছে।