খুনিদের জিয়া দেন চাকরি, খালেদা বানান এমপি: শেখ হাসিনা

pm-js-010921

জাতির পিতার খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার ক্ষেত্রে খালেদা জিয়া তার স্বামী জিয়াউর রহমানকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, “১৫ই অগাস্টের খুনিদেরকে যেমন জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে, খালেদা জিয়া তার থেকে আরও একধাপ উপরে গিয়ে জনগণের পার্লামেন্টে একজন খুনিকে এনে বসায়।”

প্রয়াত সংসদ সদস্য মো. আলী আশরাফের জন্য আনা শোক প্রস্তাবের আলোচনায় বুধবার সংসদে একথা বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

আলী আশরাফ কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ওই আসন থেকে সংসদে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুনি আবদুর রশিদ, যাকে পরে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে আদালত।

সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি বজলুল হুদাও সংসদে গিয়েছিলেন।

বিএনপি আমলের সেই নির্বাচনের প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, “সারা বাংলাদেশে সেনাবাহিনী নামিয়ে দিয়ে প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করে সেই নির্বাচনটা করা হয়।

“চান্দিনা থেকে কর্নেল রশীদকে সংসদ সদস্য করে পার্লামেন্টে নিয়ে আসে এবং বিরোধী দলের নেতার আসনে খালেদা জিয়া বসিয়েছিল। দুইজন, আরেকজন হচ্ছে মেজর হুদাকে চুয়াডাঙ্গা থেকে।”

কুমিল্লার ওই আসন থেকে পরে আশরাফ বেশ কয়েকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ডেপুটি স্পিকার, হুইপের দায়িত্ব্ও পালন করেন তিনি।

আলী আশরাফকে স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, “তিনি সব সময় একটা আদর্শ নিয়ে চলতেন। অধ্যাপনাও করেছেন, ব্যবসাও করেছেন, আবার রাজনীতিবিদও ছিলেন। অনেকগুলো বই লিখেছেন, যা থেকে মানুষের অনেক কিছু শেখার আছে।

“এই রকম বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন মাননীয় সংসদ সদস্যকে আমরা হারালাম। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।”

আলী আশরাফের সঙ্গে প্রথম পরিচয়ের ঘটনা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “তার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল ১৯৭৫ এর পর, যখন আমি ১৯৮০ সালে লন্ডনে।

“তিনি সব সময় পনেরই অগাস্টের হত্যাকাণ্ডের যেমন প্রতিবাদ করেছেন, আবার তেসরা নভেম্বর যেই হত্যাকাণ্ড, তার বিরোধিতা করেছেন। তিনি সাক্ষিও দিয়েছিলেন সেই খুনিদের বিরুদ্ধে।”

শোক প্রস্তাবের উপর আলোচনায় আওয়ামী লীগের নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মুজিবুল হক, ফারুক খান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, গণফোরামের সুলতান মনসুর, বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, মসিউর রহমান রাঁঙ্গা, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের আব্দুল মান্নান, তরীকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীও অংশ নেন।

শোক প্রস্তাবের পর আলী আশরাফসহ প্রয়াত অন্যদের জন্য মোনাজাত করা হয়। তা পরিচালনা করেন সংসদ সদস্য রুহুল আমিন মাদানী।

Pin It