টার্গেট যখন বড় থাকে তখন দ্রুত রান তোলার একটা তাড়া থাকে। সেই তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে শুরুতেই অনেকগুলো উইকেট হারিয়ে বসে খুলনা টাইগার্স। শেষের ৩২ বলে জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন দাঁড়ায় ৭২ রানের। বিশাল এই লক্ষ্যমাত্রাও অসম্ভব কিছু মনে হচ্ছিল না, কারণ মুশফিক যে তখনো উইকেটে ছিলেন! কিন্তু শেষ ১২ বলে ৩৬ রানের টার্গেট আর টপকাতে পারলেন না মুশফিকও। চেষ্টা অবশ্য করেছিলেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক। ৩৩ বলে করলেন ৬৪ রান। শেষ পর্যন্ত খুলনার ইনিংস থেমে গেল ১৬০ রানে। ঢাকা প্লাটুন ম্যাচ জিতল ১২ রানে।
এর আগে আসিফ আলীর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটে ১৭২ রান তোলে ঢাকা প্লাটুন।
দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন আনামুল হক ও তামিম ইকবাল। তবে তারা বিচ্ছিন্ন হতেই চাপে পড়ে দলটি। দলীয় ৪৫ রানে মোহাম্মদ আমিরের বলে ব্যক্তিগত ২৫ রান করে ফেরেন তামিম। ড্যাশিং ওপেনারের পর শফিউল ইসলামের বলে দ্রুত ফেরেন আনামুল। সেই রেশ না কাটতেই আমিনুল ইসলামের কট অ্যান্ড বোল্ড হন মেহেদী হাসান। ফলে চাপে পড়ে ঢাকা।
বিপর্যয়ের মুখে দলের হাল ধরেন মমিনুল হক। আরিফুল হককে নিয়ে এগিয়ে যান তিনি। পথিমধ্যে চাপ কাটিয়ে ওঠেন তারা। ক্রিজে সেট হয়ে যান এ জুটি। তাতে ঢাকার রানের চাকাও ঘুরে দ্রুতগতিতে। তবে হঠাৎ পথচ্যুত হন মুমিনুল। আমিরের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। ফেরার আগে ৩৬ বলে ৩ চারে ৩৮ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন পয়েট অব ডায়নামো।
ততক্ষণে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় ঢাকা। তাতে বাড়তি জ্বালানি জোগান আসিফ আলি। ক্রিজে নেমেই ঝড় তুলেন তিনি। খুলনা বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালান পাকিস্তানি রিক্রুট। অপর প্রান্ত আগলে রাখেন আরিফুল। সুযোগ পেলে তিনিও তোপ দাগান। তাতে বনবন করে ঘুরে প্লাটুনদের রানের হুইল। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭২ রান জোগাড় করেন তারা।
মাত্র ১৩ বলে ৪ ছক্কার বিপরীতে ২ চারে হার না মানা ৩০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন আসিফ। ৩০ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন আরিফুল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা প্লাটুন: ১৭২/৪, ২০ ওভার (তামিম ২৫, এনামুল ১৫, মুমিনুল ৩৮, আরিফুল ৩৭* ও আসিফ ৩৯*; আমির ২/২৭, আমিনুল ১/১৫ ও শফিউল ১/৪৪)।
খুলনা টাইগার্স: ১৬০/৮, ২০ ওভার (মিরাজ ১৫, রুশো ১৮, মুশফিক ৬৪, নাজিবুল্লাহ ৩১; মাহমুদ ৪/৩২, শাদাব ১/২৫, পেরেরা ১/৩৬ ও মাশরাফি ১/২৬)।
ফল: ঢাকা প্লাটুন ১২ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: ঢাকা প্লাটুনের হাসান মাহমুদ।