করোনা ভাইরাসের কারণে আসা অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতি যেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ভাগ্যটাই বদলে দিল। এতোটাই যে এখন তার হতে শোভা পাচ্ছে দু দুটি শিরোপা। করোনার পূর্ববর্তী টুর্নামেন্টগুলোতে শুধু যেন এই ভাগ্যের কাছে । নয়তো তার নেতৃত্ব গুণাবলি নিয়ে প্রশ্ন তোলার সাধ্য কারই বা আছে !
বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে নাজমুল শান্তর দলকে ৭ উইকেটে প্রথম চ্যাম্পিয়ন ট্যাগ পান মাহমুদউল্লাহ। এরপর আসে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। মাহমুদউল্লাহ সহ সাকিব আল হাসান, ইমরুল কায়েস, এনামুল হক বিজয়ের মতো অভিজ্ঞরা থাকায় টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ফেভারিট তকমা পায় জেমকন খুলনা। পরে যোগ দেন অভিজ্ঞ মাশরাফি বিন মুর্তজাও।
কিন্তু ক্রিকেট কাগজ কলমের নয়, মাঠের খেলা। তাই মাহমুদউল্লাহর পা ছিলে মাটিতেই। দলকে ফাইনালে নিয়ে গেলেও প্রায় নিষ্প্রভ ছিল তার ব্যাট। কিন্তু তা যেন ফাইনালের জন্য বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তিনি। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৪৮ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় উপহার দেন ক্যারিয়ার সেরা ৭০* রানের ইনিংস। পরে বোলারদের নৈপুণ্যে ৫ রানের জয় পেয়ে মাতেন শিরোপা উল্লাসে।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে তাই সতীর্থদের অবদানই বড় করে দেখলেন মাহমুদউল্লাহ, ‘সঠিক সময়ে ছেলেরা নিজেদের সত্যিকারের চরিত্র মেলে ধরেছে। এর চেয়ে বেশি কিছু চাইতে পারতাম না। যেভাবে ব্যাটসম্যানরা, বোলাররা, বিশেষ করে আজকে ফিল্ডাররা হৃদয় উজাড় করে খেলেছেন, এজন্যই লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছি আমরা।”
আর এক জনের কথা না বললেই নয়-মাশরাফি। যিনি দলে থাকা মানেই শিরোপার পথে এক পা এগিয়ে রাখা। এখন পর্যন্ত কোনো ফাইনালেই হেরে ফিরেননি তিনি।
মাহমুদউল্লাহও তাকে আলাদা করে ধন্যবাদ জানাতে ভুললেন না, ‘প্রথম কয়েক ম্যাচে আমি যেভাবে চাইছিলাম সেভাবে ব্যাটিং করতে পারছিলাম না। কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি। খুশি যে আমি অবদান রাখতে পেরেছি। বিশেষ ধন্যবাদ আমার দলকে। বিশেষ করে ম্যাশকে। সে অনেক সাহায্য করেছে। তার অভিজ্ঞতা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে। খুবই খুশি তাকে পেয়ে।’