খুলনা ও জামালপুর জেলা লকডাউন

Untitled-5-samakal-5e8e0624ce99d

খুলনা ও জামালপুর জেলাকেজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল হোসেন ও জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এনামুল হক। বুধবার রাতে তিনি তারা এ তথ্য জানান।

এর আগে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া খুলনা জেলায় সকল ধরনের যানবাহন প্রবেশ ও বাহির হওয়া বন্ধ থাকবে। তবে চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবা (যেমন খাদ্যদ্রব্য, কৃষিপণ্য ও সেচ সরঞ্জাম, জ্বালানি তেল ইত্যাদি) এর আওতা বহির্ভূত থাকবে। এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, হিসাবরক্ষণ অফিস এবং সংশ্লিষ্ট অফিস এর আওতামুক্ত থাকবে। ক্লিনিক, হাসপাতাল, ওষুধের দোকান ছাড়া অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান, বাজার প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাত পৌনে ১১টায় মোবাইল ফোনে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেলাল হোসেন সমকালকে জানান, খুলনা জেলায় কোনো যানবাহন ঢুকতে পারবে না এবং খুলনা জেলা থেকে কোনো যানবাহন বাইরে যেতে পারবে না। এর আগে এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল, সেটিই মূলত ‘লকডাউন’। জরুরি প্রয়োজনে ব্যাংক ও বাজারসহ ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে।

জামালপুর জেলা লকডাউনফাইল ছবি

জামালপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এ সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এনামুল হক।জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জামালপুর জেলার সঙ্গে ঔষধ, খাদ্যদ্রব্য, সংবাদপত্র ও চিকিৎসকদের গাড়ি ছাড়া দেশের সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলায় ঔষধ ও কাচা বাজার ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লকডাউন বাস্তবায়ন করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।

এই জেলায় দুইজন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। তাদের জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের আইসোলেশেন ইউনিটে রাখা হয়েছে।

Pin It