গুরুতর অসুস্থ হয়ে নিউ ইয়র্কের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাদেক হোসেন খোকাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় রোববার দুপুরে এক দোয়ার অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের প্রতি এই আহ্বান জানান।
ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য পাঁচ বছর ধরে নিউ ইয়র্কে রয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা।
১৮ অক্টোবর থেকে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের মেমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার সেন্টারে তার চিকিৎসা চলছে। তবে সেখানকার চিকিৎসকরা খোকার আশা ছেড়ে দিয়েছেন বলে শুক্রবার জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা মিল্টন ভূঁইয়া।
দোয়া মাহফিলে বিএনপি মহাসচিব ফখরুল বলেন, “তিনি (সাদেক হোসেন খোকা) আমাদেরকে বলেছেন, তার বন্ধুদের বলেছেন যে, দেশের মাটিতেই যেন তার কবর হয়। আজকেও তার ছেলে সকাল বেলা ফোন করে বলেছে, তার বাবার এই এক ইচ্ছা আমরা পুরণ করতে চাই।”
“আমরা আহ্বান জানাতে চাই সরকারের কাছে যে, তিনি যেন দেশে ফিরতে পারেন, সেই ব্যবস্থা তাদের গ্রহণ করা উচিত বলে আমরা মনে করি।”
ঢাকার সাবেক মেয়র খোকার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে তার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে তার এবং পরিবারের কয়েকজন সদস্যের কোনো পাসপোর্ট সরকার দেয়নি।
মির্জা ফখরুল বলেন, “তিনি মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। আমরা জানি যে, তিনি ঢাকা মহানগর শুধু নয়, সারা বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী রাজনীতি যারা বিশ্বাস করেন তাদের কত প্রিয় মানুষ। যিনি আমাদের ঢাকা মহানগরের সকল নেতাকর্মীর কাছে একজন সত্যিকার অর্থে দরদী মানুষ। আমার মনে হয় না যে, এমন কোনো নেতা-কর্মী নেই তাদের যে কোনো প্রয়োজনে এগিয়ে আসেননি।
“তিনি বরাবরই বলেছেন, আমি কয়েকবার তার সঙ্গে দেখা করেছি নিউ ইয়র্কে গিয়ে, তিনি আমাকে বলেছেন, যদি অসুস্থ না থাকতাম, যদি প্রতি সাপ্তাহে মনিটর করতে ডাক্তারের কাছে যেতে না হত, তাহলে দেশে গিয়ে জেলে যেতাম, আমি মানুষের সঙ্গে থাকতাম।”
তিনি সাদেক হোসেন খোকার সুস্থতা ও খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান।
মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু ও সাধারণ সম্পাদক আহসানউল্লাহ হাসানের পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে বিএনপির ভিপি জয়নাল আবেদীন, মীর সরফত আলী সপু, আবুল কালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল কাজী আবুল বাশার, নবী উল্লাহ নবী, আবদুল মতিন, জিএম শামসুল হক, এবিএম আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।