পোশাক কারখানা অধ্যুষিত গাজীপুরের প্রায় সব এলাকা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা পুরোপুরি লকডাউন থাকায় জরুরি রপ্তানি আদেশের কাজ থাকা অনেক কারখানা বৃহস্পতিবার খোলা রাখা সম্ভব হয়নি। সব মিলিয়ে মাত্র ২৬টি কারখানা খোলা ছিল।
সাধারণ ছুটির মধ্যেও জরুরি রপ্তানি আদেশের কাজ এবং করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষায় পিপিই এবং মাস্ক তৈরির কাজে থাকা কারখানাগুলো এত দিন খোলা ছিল।
পোশাক খাতের দুই সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ডিআইএফই এর অনুমতি নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় এসব করাখানা এত দিন খোলা ছিল।
এদিকে উৎপাদন বন্ধ থাকলেও অনেক কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করেছেন। এ পর্যন্ত ২৭৮ টি কারখানার শ্রমিক কর্মচারীরা গেল মার্চ মাসের বেতন পেয়েছেন। বেতন পরিশোধের সময় সরকার ঘোষিত প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ফলে বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএর বেঁধে দেওয়া সময়ের আগেই বেতন পেলেন এসব কারখানার শ্রমিকরা।
আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে মার্চের বেতন পরিশোধে সদস্য কারখানাগুলোর মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক এবং বিকেএমইএর সভাপতি সেলিম ওসমান। তাদের ঘোষণা অনুযায়ী সাধারণ ছুটির পর কারখানা খোলার দুই দিনের মাথায় বেতন দেওয়ার কথা। সাধারণত মাসের প্রথম সাত কর্মদিবসের মধ্যে পূর্ববর্তী মাসের বেতন দেওয়া হয় পোশাক কারখানাগুলোতে। আগামী ১৪ এপ্রিল কারখানা খোলা রাখার কথা রয়েছে।
বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সাভারের আশুলিয়ায় ৬টি কারখানা খোলা ছিল। গাজীপুরে ১৩টি এবং চট্টগ্রামে ৭টি কারখানা খোলা ছিল। তবে বুধবারের মতো বৃহস্পতিবারও কোনো কারখানা খোলা রাখা হয়নি নারায়ণগঞ্জে।
এদিকে করোনাভাইরাসের প্রভাবে ইউরোপ এবং আমেরিকার ঘোষিত অঘোষিত লকডাউনের কারণে শোরুম খুলতে না পারা ব্র্যান্ড এবং খুচরা ক্রেতাদের পক্ষ থেকে রপ্তানি আদেশ বাতিল কিংবা স্থগিতের ঘটনা অব্যাহত আছে। বুধবারও কয়েকটি ক্রেতা এবং ব্র্র্যান্ড তাদের রপ্তানি আদেশ বাতিল করেছে। এ নিয়ে গত কয়েক দিনে এক হাজার ১২৩টি কারখানার ৯৭ কোটি পিছ পোশাক পণ্যের রপ্তানি আদেশ বাতিল হলো। এসব পণ্যের মূল্য ধরা হয়েছিল ৩১১ কোটি ডলার। এই বাতিল কিংবা স্থগিতের কারণে ২০ লাখ ২৫ হাজার শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।