গণতন্ত্র ও সংবাদ মাধ্যম হাত ধরাধরি করে চলতে হয়: প্রধান বিচারপতি

cj-5c59a436a3a4f

একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র কাঠামোয় গণতন্ত্র ও সংবাদ মাধ্যম পরস্পর হাত ধরাধরি করে চলতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

তিনি বলেন, বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক, স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশে সংবাদ মাধ্যমের অনুপস্থিতির কথা ভাবাই যায় না। কেননা, একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র কাঠামোয় গণতন্ত্র ও সংবাদ মাধ্যম পরস্পর হাত ধরাধরি করে চলতে হয়। সঙ্গত কারণেই সাংবাদিকতাকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়।’

সমাজে সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি বলেন, মানুষের জানার অধিকার এবং গণমাধ্যমের তথ্য জানানোর গভীর দায়বদ্ধতার প্রশ্নে সামাজিক অঙ্গীকার নিয়ে সাংবাদিকরা প্রতিনিয়ত কাজ করছেন। সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সমাজের অসঙ্গতি দূরীকরণে এবং সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে সাংবাদিকতা তথা গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে ‘আইনের তারুণ্য’ শীর্ষক সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।

অনলাইন পোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকমে বিভিন্ন সময়ে ১৯ জন তরুণ আইনজীবীকে নিয়ে ওই পোর্টালের প্রতিবেদক মেহেদী হোসেন ডালিমের লেখা প্রতিবেদনগুলো এই সংকলনে তুলে ধরা হয়েছে। ল’ টাইমস প্রকাশিত প্রকাশিত সংকলটির মূল্য ৫০০ টাকা।

সাংবাদিকদের ভূমিকা প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, একজন আদর্শ মানুষের সাধারণ গুণ ও যোগ্যতার পাশাপাশি একজন আদর্শ সাংবাদিকের দরকার বিশেষ মাত্রার আরো কিছু প্রজ্ঞা, দক্ষতা ও গুণাবলী। একজন দক্ষ সাংবাদিক একটি সংবাদ ঘটনার বয়ানকারী এবং একজন দক্ষ যোগাযোগকারী। সমাজ সভ্যতার অগ্রগতিতে, জাতীয় জীবনের কাপিখত লক্ষ্য অর্জনে, মানবতা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং মানবাধিকার সুরক্ষার শাণিত চেতনা একজন আদর্শ সাংবাদিকদের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ।

বন্তুনিষ্ট অনুসন্ধানী সাংবাদিকুার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, গণমাধ্যম অনুসন্ধিৎসু সাংবাদিকতার মাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে বিদ্যমান সমস্যা এবং সমাধানের পথ দেখিয়ে প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে- এটাই সবার প্রত্যাশা। আমি বিশ্বাস করি সাংবাদিকগণ মহান মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও জাতি গঠনেও সচেষ্ট থাকবেন।

‘আইনে তারুণ্য’ নামক সংকলন প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, উদীয়মান তরুণ আইনজীবীদের জীবনের ছোট ছোট গল্প এবং আইন পেশায় তাদের বিচরণের বাস্তব গল্পগুলো সাবলীল ভাষায় ফুটে উঠেছে। এ ছাড়াও আইন অঙ্গনে অনেক প্রথিতযশা ব্যক্তিবর্গ কাজ করেছেন এবং এখনও করছেন। তাদের অনেকের বড় হয়ে উঠার গল্প হয়ত আমরা অনেকেই জানি না। প্রথিতযশা ব্যক্তিদেরকে নিয়ে এরূপ জীবনীভিত্তিক কোনো সংকলন না থাকার কারণে এমনটি হয়েছে। তাদের নিয়েও এ ধরনের সৃজনশীল কাজ করর জন্য প্রধান বিচারপতি সাংবাদিক সমাজের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার, রাইজিংবিডি ডটকমের সম্পাদক এস এম জাহিদ হাসান, ল’ রিপোর্টাস ফোরামের সভাপতি সাঈদ আহমেদ খান, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) প্রধান ববি হাজ্জাজ প্রমুখ।

Pin It