তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জনসমাগম কম হওয়ার আশঙ্কায় এবং গন্ডগোল সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই নয়াপল্টনের ব্যস্ত রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে নয়াপল্টনের পুরো এক কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে যদি মানুষ বসে, তাহলেও ৫০ হাজারের বেশি হবে না। তবু সেখানেই সমাবেশের ওপর জোর দেওয়ার মাধ্যমে তারা প্রমাণ করছে-প্রথমত, তারা শঙ্কিত। দ্বিতীয়ত, রাস্তায় সমাবেশ করলে গন্ডগোল করতে সুবিধা হয়। বড় সমাবেশ রাস্তায় করা অনুচিত, এতে জনগণের দুর্ভোগ হয়। আপনারা সাংবাদিকরাই লেখেন এবং টেলিভিশনে দেখান যে রাস্তায় সমাবেশ করতে গিয়ে জনগণের দুর্ভোগ হচ্ছে। সরকার অনুমতি দিতে পারে কিন্তু গন্ডগোল করার উদ্দেশ্যে কোনো সমাবেশ করার অনুমতি তো দিতে পারে না।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের সাক্ষাৎ: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে বৈঠক শেষে ড. হাছান সাংবাদিকদের জানান, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছেন। ১১ ডিসেম্বর তাদের উদ্যোগে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে ‘মানবাধিকার সংরক্ষণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে আমাকে আমন্ত্রণ জানাতে এসেছেন। ছোটখাটো অন্যান্য বিষয় যেমন : পরিবেশ সংরক্ষণ, কপ২৭-এর ফলাফল এবং গণমাধ্যম নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
গোয়েন লুইস সাংবাদিকদের জানান, গণমাধ্যম, জলবায়ু পরিবর্তন ও সম্প্রতি সমাপ্ত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের ফলাফল নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা হয়েছে। জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের কার্যালয়ের সিনিয়র হিউম্যান রাইটস অ্যাডভাইজার হুমা খান এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর দপ্তরের পরিচালক জনসংযোগ মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।