তাপদাহ আর ঘাম মিলেমিশে বারোটা বাজায় চুল। করে তোলে তেল চিটচিটে।
আর এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে টাইমস অফ ইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতীয় রূপচর্চাবিদ ডা. ব্লসম কোচারের দেওয়া পরামর্শগুলো এখানে উল্লেখ করা হল।
* চুল সুস্থ রাখতে নারিকেলের দুধ সবচেয়ে ভালো উপকরণ। নারিকেলের তাজা দুধের সঙ্গে একটা লেবুর রস ও চার পাঁচ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশল তেল মিশিয়ে নিন। চার থেকে পাঁচ ঘন্টা মাথায় রেখে তা ধুয়ে ফেলুন।
* শ্যাপু করার আগে এক টেবিল-চামচ পানি এবং ১০ ফোঁটা পাচৌলি এসেনশল তেল মিশিয়ে নিন। আঙ্গুলের সাহায্যে মাথার ত্বক ও চুলে এই মিশ্রণ মেখে নিন। এরপর সাধারণভাবে শ্যাম্পু করে নিন।
* শ্যাম্পুতে দুতিন ফোঁটা ‘ইয়াং ইয়াং এসেনশল’ তেল মিশিয়ে শ্যাম্পু করে নিন। এই চমৎকার তেলটি ভিক্টোরিয়ান সময়ে চুলের প্রসাধনী হিসেবে ব্যবহৃত হত। এটা প্রকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবেও কাজ করে। সিবাম উৎপাদন বাড়ায় এবং চুলকে সুস্থ ও মসৃণ রাখতে সহায়তা করে।
* খুব ঘন ঘন শ্যাম্পু না করে বরং শুষ্ক শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে। এটা চুলের তৈলাক্তভাব কমায় ও জটা পড়ার সমস্যা দূর করে।
* অনেকেই মনে করেন তৈলাক্ত চুলে কন্ডিশনারের প্রয়োজন হয় না, এটা ভুল ধারণা। সব ধরনের চুলের জন্যই কন্ডিশনার প্রয়োজন। তৈলাক্ত চুলে মাস্কের বদলে হালকা কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত।
* চুলের চিটচিটেভাব কমাতে শ্যাম্পুর পরে এক মগ পানিতে ১ চা-চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন।
* তৈলাক্ত চুলের জন্য তৈরি এমন প্রসাধনী ব্যবহার নিশ্চিত করুন।
* তৈলাক্ত চুল মানে খুশকিরও ঝামেলা। খুশকি দূর করতে এক চা-চামচ লেবুর রস নারিকেল তেলে মিশিয়ে মাথার ত্বকে মেখে নিন।
* যখন তখন চুলে হাত বা চিরুনি দিবেন না, এতে সিবাম নিঃসরণ বেড়ে যায় ও তেল চিতচিটেভাব হয়। তার মানে এই নয় যে, সারাদিনে চুলে না আঁচড়ে জটা বাঁধাতে হবে।
চুল ভালো রাখতে স্বাভাবিকভাবে এর যত্ন নিন ও আঁচড়ান, অতিরিক্ত নয়।