রঙিন খাবার যত খাওয়া যায় শরীরের জন্য ততই মঙ্গল।
তাই বলে কৃত্রিম রং নয়, প্রাকৃতিকভাবে রঙিন সবজি ও ফল খাবার তালিকায় যোগ করতে পারলে দেহ থাকবে সুস্থ।
“উদ্ভিদে ভিন্ন ‘পিগ্মেন্ট’ বা নানান ‘ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট’ থাকার কারণে এর রংয়ের বৈচিত্র্য দেখা যায়।” ফেমিনা ডটইন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন এই তথ্য দেন ভারতীয় পুষ্টিবিদ ও ডায়াবেটিক প্রশিক্ষক ডা. গৌড়ি আনান্দ।
তিনি গরমের সময় দেহের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন রঙিন ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন।
ফল, সবজি ও মটর দানা- অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস যা শরীর সুস্থ রাখে। রঙিন খাবারে রয়েছে নানান পুষ্টি ও ও স্বাস্থ্যোপকারিতা। বিভিন্ন রকমের ফল ও সবজি খাওয়া শরীরের চাহিদা পূরণ করে।
‘রংধনুর মতো রঙিন খাওয়া’ বলতে বোঝায় খাবারে লাল, সবুজ, হলুদ, কমলা, বেগুনি বা নীল ও সাদা বা বাদামি ফল এবং সবজি যোগ করা।
প্রতিবেলার খাবারে এগুলো যত বেশি থাকবে ততই দেহের উপকার করবে।
শুরুর ধাপ
রঙিন খাবারের অনুশীলন শুরু করার প্রথম পর্যায়ে প্রতিবেলার খাবারে কমপক্ষে দুতিন রংয়ের খাবার যোগ করতে হবে।
প্লেটে থাকা রঙিন খাবারের প্রভাব ত্বক, শরীর ও দেহে ওপরে দেখতে পাবেন। খাবার তালিকায় ধীরে ধীরে ফল ও সবজির সব রং যোগ করলে শরীর ভালো থাকবে।
কোন ধরনের রঙিন ফল কী ধরনের উপকার করে সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা যাক।
লাল: টমেটো, স্ট্রবেরি, তরমুজ
এগুলো লাইকোপেন ও অ্যান্থোসায়ানিন্স সমৃদ্ধ, যা হৃদযন্ত্রের নানান অসুস্থতা যেমন- স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
কমলা ও হলুদ: কমলা, লাল ও হলুদ মরিচ, গাজর, মিষ্টি আলু, আঙুর, মিষ্টি কুমড়া
এগুলো উচ্চ বেটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ। এই যৌগ শরীরে ভিটামিন এ হিসেবে রূপান্তরিত হয়। যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে, কোষের বৃদ্ধিতে ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন- হৃদপিণ্ড, ফুসফুস ও বৃক্ক সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে।
সবুজ: ব্রকলি, মটর, শসা, পাতাবহুল সবজি
এগুলো শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজ সরবারহ করে। এসব খাবার উচ্চ আঁশ এবং কম ক্যালরি সমৃদ্ধ। যা স্থূলতার সমস্যা কমাতে ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি পাচন তন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করতেও সহায়তা করে।
বেগুনি ও নীল: ব্লুবেরি, বেগুন
এগুলো ফ্লাভানয়েড সমৃদ্ধ যা ত্বকের অভ্যন্তরের প্রদাহ কমায় এবং ধমনীতে ‘প্লাক’ জমা হ্রাস করে।