ঘাড় ও গলার কালচেভাব মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়।
মুখের ত্বক ভালো রাখতে সবাই কম বেশি পরিচর্যা করেন। তবে ঘাড় ও গলার ত্বক থেকে যায় অবহেলায়। যা প্রকৃত অর্থে মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করে।
সাধারণত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অবহেলায় ঘাড় ও গলায় কালচেভাবের তৈরি হয়। এছাড়া প্রসাধনীতে থাকা রাসায়নিক দ্রব্য, দূষণ এমনকি ডায়াবেটিস থাকলেও এই সমস্যা হতে পারে।
তবে সমাধানও রয়েছে হাতের কাছে।
রুপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে গলা ও ঘাড়ের কালচেভাব দূর করার ঘরোয়া কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জানানো হল।
অ্যালো ভেরা: এতে থাকা খনিজ ও ভিটামিন ত্বকের ‘মেলানিন’ উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে ‘পিগমেন্টেইশন’ কমাতে সাহায্য করে।
অ্যালো ভেরার পাতা কেটে তা থেকে জেল আলাদা করে ত্বক মেখে রাখুন। এরপর কয়েক মিনিট স্ক্রাব করুন। আধ ঘন্টা অপেক্ষা করে সাধারণ পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে নিন।
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার: পিএইচ’য়ের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে সুপরিচিত। এটা ত্বকে জমে থাকা মৃত কোষ দূর করে।
দুই টেবিল-চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে নিন। এরপর একটা তুলার বল এতে ডুবিয়ে তা দিয়ে ত্বকের কালচেভাবের ওপর ব্যবহার করুন। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে তা সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কাঠ-বাদামের তেল: ভিটামিন ই ও ব্লিচিং উপাদান সমৃদ্ধ। এগুলো একসঙ্গে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
কয়েক ফোঁটা কাঠ-বাদাম তেল নিয়ে তা ত্বকে কয়েক মিনিট মালিশ করুন যেন ত্বক সহজেই তা শুষে নিতে পারে।
দই: আছে প্রাকৃতিক ‘এঞ্জাইম’ যা ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
দুই টেবিল-চামচ তাজা দই নিয়ে তা গলার ত্বকে মালিশ করুন। পনের মিনিট অপেক্ষা করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আলু: আলু ব্লিচিং উপাদান সমৃদ্ধ যা ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
একটা আলু কুচি করে কেটে তা থেকে রস বের করে নিন। গলার ত্বকে আলুর রস ব্যবহার করে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর সাধারণ পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে নিন।