নিহতদের মধ্যে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাস পরিচালিত পুলিশ প্রধান মাহমুদ সালাহ ও তার সহকারী হুসাম শাহওয়ানও রয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
গাজাজুড়ে ইসরায়েলের বিমান হামলায় বৃহস্পতিবার অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে বাস্তুচ্যুত মানুষদের একটি আশ্রয়শিবিরে মারা গেছে ১১ জন। স্বাস্থ্যকর্মীরা একথা জানিয়েছে।
আল মাওয়াসি জেলার ওই আশ্রয়শিবিরে নিহত ১১ জনের মধ্যে আছে নারী ও শিশু। গাজায় ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের ১৫ মাস ধরে চলা যুদ্ধে এই শিবিরটি ছিল বেসামরিক লোকজনের আশ্রয়স্থল।
বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় ইসরায়েলের হামলায় নিহতদের মধ্যে গাজা পুলিশের মহাপরিচালক মাহমুদ সালাহ ও তার সহকারী হুসাম শাহওয়ান রয়েছেন বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “গাজার পুলিশের মহাপরিচালককে হত্যার অপরাধ সংঘটিত করে দখলদ্বার বাহিনী (ইসরায়েল) এই ভূখন্ডকে আরও বিশৃঙ্খলার দিকে ঠেলে দিচ্ছে এবং নাগরিকদের দুর্ভোগ আরও বাড়াচ্ছে।”
আল আরাবিয়া জানায়, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, তারা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খান ইউনিসের পশ্চিমে আল মাওয়াসি এলাকায় হামলা চালিয়ে শাহওয়ানকে হত্যা করেছে। দক্ষিণ গাজায় তিনি হামাসের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান ছিলেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। তবে সালাহ এর মৃতুর বিষয়ে তারা কিছু বলেনি।
আল মাওয়াসি ছাড়াও অন্যান্য স্থানে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হয় অন্তত ২৬ জন ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে খান ইউনিসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সদরদপ্তরগুলোতে নিহত হয় ৬ জন। আর অন্যান্যরা নিহত হয় উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবির, সাতি ক্যাম্প এবং গাজার মধ্যাঞ্চলের মাগাজি ক্যাম্পে।