রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রমজান আলী (৩৫) রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
রোববার (১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ জনে। বর্তমানে তার মেয়ে রাফিয়াও হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রাইভেটকারে করে বিয়ের দাওয়াত খেতে যাওয়ার পথে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাদিরপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ওই একই পরিবারের চারজনসহ সাতজন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী, দু’জন শিশু ও দু’জন পুরুষ রয়েছে। ওই প্রাইভেটকারে চালকসহ মোট নয়জন ছিলেন।
নিহতরা হলেন- রাজশাহী মহানগরীর মুন্নাফের মোড় এলাকার আক্কাস আলী (৪০), তার স্ত্রী হাসনে আরা (৩৫), তার মেয়ে মুসফেরা (১০) ছেলে আদিব আল হাসান (৪ মাস), মহানগরীর মেহেরচন্ডী এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে প্রাইভেটকারচালক মাহবুবুর রহমান (৩৫), গোদাগাড়ী কেল্লাবাড়ি গ্রামের রমজান আলীর স্ত্রী আছিয়া বেগম (৩০) ও মহানগরীর নওদাপাড়া এলাকার আতিয়া পূর্ণিমা (২৩)।
এ ঘটনায় রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন নিহত নারী আছিয়ার স্বামী রমজান আলী (৩৫) ও তার মেয়ে রাফিয়া (৩)। এদের মধ্যে রমজান আলী হাসপাতালের আট নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এবং তিন বছরের শিশু রাফিয়াকে হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, শ্যালকের বিয়ের দাওয়াত খাওয়ার জন্য বোন ও বোনের স্বামী এবং ভাগ্নে-ভাগ্নি রাজশাহী থেকে গোদাগাড়ী যাচ্ছিল। দুপুরে প্রাইভেটকারে করে (ঢাকা মেট্রো-খ- ১১-৩২৬০) ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার পথে গোদাগাড়ীর কাদিরপুর এলাকায় পৌঁছানোর পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ ও স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। গুরুতর আহতদের রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু রামেক হাসপাতালে পৌঁছানোর পরপরই আরও তিনজনের মৃত্যু হয়। এরপর বিকেলে আহত আতিয়া পূর্ণিমার মৃত্যু হয়। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন রমজান আলী ও তার মেয়ে রাফিয়া। এরমধ্যে রমজান আলীও রোববার সকালে মারা গেলেন। এখন তাদের তিন বছরের মেয়ে রাফিয়া মুমূর্ষু অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।