গৌরীপুরে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে এসে লাশ হলেন সৌদি নাগরিক

Untitled-1-5c5d6fad4fdf3

সৌদি আরবের দাম্মাম শহরের বাসিন্দা আবু নাছের আল দুসারী। পঁয়তাল্লিশ বছর বয়সী নাছেরের সঙ্গে কয়েক বছর আগে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে ময়মনসিংহের গৌরীপুরের বাসিন্দা আবু সাঈদ সানীর।

বন্ধুত্বের সূত্রে নাছের মাঝে মধ্যেই সানীর বাড়িতে বেড়াতে আসতেন। গত কয়েক বছর ধরেই বন্ধুর বাড়িতে আসা যাওয়া ছিল তার। কিন্তু এবার বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে এসে লাশ হয়েছেন নাছের।

সৌদি নাগরিকের মৃত্যুর খবরে পুলিশ লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি বন্ধু সানীকে মদ্যপ অবস্থায় আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের ডৌহাখলা গ্রামের করম আলীর ছেলে আবু সাইদ সানী। তিনি একজন লালন সাধক। ঢাকার গুলশানে একটি হোটেলে প্রায় বিশ বছর আগে সানীর সাথে পরিচয় হয় সৌদি নাগরিক আবু নাছের আল দুসারীর। সৌদি নাগরিক নাছের দাম্মাম নগরীর বাসিন্দা। তার পিতার নাম ফালেহ। নাছের ভিসা ব্যবসায়ী ছিলেন। বন্ধুত্বে সূত্র ধরে গত কয়েক বছর ধরে নাছের তার বন্ধু সানীর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গেল বছরের ৯ ডিসেম্বর সানীর বাড়ি ডৌহাখলায় বেড়াতে আসেন নাছের। সেখানে বন্ধুর সঙ্গেই বসবাস করছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে খাবার খেয়ে নাছের ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু রাত হয়ে গেলেও না জেগে উঠায় সানীর সন্দেহ হয়। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক এসে নাছের মারা গেছে বুঝতে পেরে পুলিশের কাছে খবর পাঠান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ডেকে পাঠানো হয় গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসককে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক গিয়ে সৌদি নাগরিক আবু নাছের আল দুসারী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সৌদি নাগরিক আবু নাছের আল দুসারীর মৃত্যুর খবরে পুলিশ গিয়ে বন্ধু সানীকে মদ্যপ অবস্থায় লাশের পাশে পায়। বন্ধুর জন্য মদ্যপ সানী বিলাপ করছিলেন তখন। পুলিশ প্রাথমিক সুরতহালে নিহতের শরীরে কোনো ধরণের আঘাতের চি‎হ্ন না পেলেও শরীরে মদের গন্ধ পেয়েছে। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।

গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভিসা ব্যবসায়ী সৌদি নাগরিকের সঙ্গে সানীর দীর্ঘদিন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। সে কারণে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে আসতেন ওই নাগরিক। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে সৌদি নাগরিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহালে আঘাতের কোনো চি‎হ্ন না পাওয়া গেলেও মদের গন্ধ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।

তিনি আরও বলেন, মদ্যপ অবস্থায় সানীকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Pin It