গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মোজাম্মেল হক ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন)। বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৬টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে গ্রামীণ ব্যাংকের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। মোজাম্মেল হক ২০১১ সাল থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
খন্দকার মোজাম্মেল হক কিডনি জটিলতাসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই গ্রামীণ ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন মোজাম্মেল হক। ১৯৮৩ থেকে শুরু করে ২০০৩ সালে অবসরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক গবেষক মোজাম্মেল ফরাসি উন্নয়ন ব্যাংক এবং শ্রীলংকা ও নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ক্ষুদ্রঋণ পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছেন।
২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংককে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। এ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ইউনূসকে বয়সজনিত কারণে সরে যেতে হয়। এরপর ড. ইউনূস চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকতে চাইলেও ব্যাংকের ২৫ শতাংশের মালিক সরকার তা চায়নি। সরকার খন্দকার মোজাম্মেল হককে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়। স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে মোজাম্মেল হক ২০১৩ সালে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। চেয়ারম্যান পদে এ বছরের নভেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ ছিল তার।
গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল বাদ জোহর ধানমণ্ডির তাকওয়া মসজিদে মোজাম্মেল হকের প্রথম জানাজা হয়। পরে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে। সেখানে আরকে দফা জানাজার পর কফিন রাখা হয়েছে হাসপাতালের হিমঘরে। আজ জুমার পর মোজ্জামেল হকের জন্মস্থান নোয়াখালীর সেনবাগের কেশারপাড় গ্রামে তার লাশ দাফন করা হবে।