গ্রামে গিয়ে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সরকারি মূল্যে ধান কিনেছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক এস এম আবদুল কাদের। বুধবার জেলার পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার মধুসুদনপুর গ্রামে গিয়ে তিনি কৃষকের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে আড়াই টন ধান কেনেন।
পবা উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, কৃষকরা সরকারি মূল্যে খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে পারছেন না খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক এস এম আবদুল কাদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ নেওয়াজ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হোসেন ভূঁইয়া ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা জাকির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে এ কর্মসূচিতে যান। গ্রামের কৃষকরা তাদের কাছে ধান বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। ন্যায্যমূল্য পেয়ে কৃষকরাও উচ্ছ্বসিত হন।
মজিবর রহমান নামের এক কৃষক জানান, জেলা প্রশাসক উপস্থিত থেকে ধান কেনার কথা শুনে তিনি ১৫ মণ ধান বিক্রি করেছেন। সরকার নির্ধারিত মূল্য এক হাজার ৪০ টাকা দরে প্রতি মণ ধান বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, সারাদেশের ধানচাষিরা বাজারে ধানের এমন মূল্য পেলে উপকৃত হতেন। সব জায়গায় যদি এভাবে ধান কেনা হয়, তাহলে চাষিরা অনেকটা লাভের মুখ দেখবেন।
তবে প্রান্তিক অনেক কৃষক কৃষিকার্ড ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকায় ধান বিক্রি করতে পারছেন না। এতে কৃষকরা ধান বিক্রিসহ কৃষির অন্যান্য খাতে সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় প্রশাসন সব সময় তৎপর থাকবে। আমি ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার তদারকি করব। কোনো ব্যবসায়ী কৃষক সেজে ধান বিক্রির চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। কৃষকদের কৃষিকার্ড ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও ব্যাংককে তাগিদ দেওয়া হবে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পবা উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাকিলা নাসরিন।