বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে ৭ জানুয়ারির বিরোধী দলহীন ডামি নির্বাচন নিরাপদে করার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের গুম, খুন, গায়েবি মামলা, হুলিয়া, গ্রেফতার, হয়রানি, নিপীড়ন ও নির্যাতনের যে ভয়াবহতা চলছিল তা এখনো অব্যাহত রেখেছে ডামি সরকার। যতই গ্রেফতার, জুলুম ও নির্যাতন করা হোক না কেন বিএনপি নেতাকর্মীরা এই জালিম সরকারের কাছে মাথা নত করবে না।
সোমবার দুপুরে শহরের আলাইপুরে নাটোর জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে ৪৩৭ জন নির্যাতিত ও কারাভোগকারী নেতাকর্মীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর যদি দেশের রাজাকারদের বিচার করা হয়, তাহলে নব্য রাজাকার আলবদরদের বিচার এই বাংলার মাটিতে হবেই। যারা বিএনপি নেতাকর্মীদের ধরিয়ে দিয়েছে তাদের বিচার এ মাটিতেই হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন দিলে সারা দেশে ২০টির বেশি আসন পাবে না। আর এজন্য নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন দিচ্ছে না।
২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে কারাগারে বিএনপির ১৫ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন দাবি করে দুলু বলেন, এ ঘটনারও বিচার করা হবে। ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার ও কথা বলার অধিকার না ফিরিয়ে আনা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি নেতাকর্মীদের আহবান জানান।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন করতে গিয়ে নাটোরের জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা কমিটি এবং সহযোগী অঙ্গসংগঠনের অবৈধ সরকারের মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় কারাভোগ ও হামলায় নির্যাতিত নেতাকর্মীদের নাটোর জেলা বিএনপির দেওয়া সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মো. শহিদুল ইসলাম বাচ্চু।
সংবর্ধনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক কাজী গোলাম মোর্শেদ, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, জেলা বিএনপির সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন ছবি, রুহুল আমিন তালুকদার টগর, কাজী শাহ আলম, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, যুগ্ম আহবায়ক দাউদার মাহমুদ, গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ, জেলা যুবদল সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম ও জেলা ছাত্রদল সভাপতি কামরুল ইসলামসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা।
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি দুলু কারাভোগকারী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের হাতে ফুল ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি অধ্যাপক কাজী গোলাম মোর্শেদ বক্তব্য রাখার সময় দুলুর বাসার সামনের মহাসড়ক থেকে কয়েকজন সন্ত্রাসী মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় সংবর্ধনা সভা লক্ষ্য করে পর পর কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করে। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে শীর্ষ নেতারা পরিস্থিতি শান্ত করেন বলে দুলু জানিয়েছেন।