সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতির কারণে ইতিহাসের সবচেয়ে আরামদায়ক ও স্বস্তির ঈদযাত্রা হচ্ছে এবার।
রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের মেঘনা টোল প্লাজা এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের কমান্ড অ্যান্ড মনিটরিং কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে ঢাকা থেকে দেড় ঘণ্টায় কুমিল্লা এবং চার ঘণ্টায় চট্টগ্রামে যানবাহন পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে। ঘরমুখো মানুষের যাত্রা এবার স্বস্তিদায়ক হয়েছে। গাজীপুর থেকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক চার লেনে উন্নীত হওয়ায় উত্তর জনপদেও দুর্ভোগের অবসান হয়েছে। সড়ক-মহাসড়কের জন্য বাংলাদেশের কোথাও কোনো যানজট হচ্ছে না।
তিনি বলেন, হাইওয়ে পুলিশের র্দীঘদিনের দাবি ছিল মহাসড়কগুলোতে মনিটরিং ও বিশ্রামের জন্য সেন্টার নির্মাণ করার। সেই প্রতীক্ষিত হাইওয়ে পুলিশের কমান্ড অ্যান্ড মনিটরিং কন্ট্রোল সেন্টার নির্মিত হয়েছে মেঘনা টোলপ্লাজায়। এখান থেকে মহাসড়কের যানজটসহ সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করতে পারবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের জন্য মনিটরিং অ্যান্ড কমান্ড ভবন নির্মাণ করা হবে।
মহাসড়কে যানবাহনের চালকদের বিশ্রামের জন্যও বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হবে জানিয়ে এজন্য তিনি মালিক শ্রমিক নেতাদের হাইওয়ের পাশে জায়গা নির্বাচন করার আহ্বান জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদ বৈশ্বিক সমস্যা। হলি আর্টিজেনের পর জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় আমরা সক্ষমতা অর্জন করেছি। আসন্ন ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলা উড়িয়ে দেয়া যায় না। তবে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা মোকাবেলা করার জন্য তৎপর রয়েছে।’
অনুষ্ঠানে হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি আতিকুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশী আব্দুস সবুর খান, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম, পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।