সংসদ সদস্যরা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। সেটা ঘরোয়া হোক আর বাইরে হোক, নির্বাচন-সংক্রান্ত কোনো কাজে তারা অংশ নিতে পারবেন না। শনিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে সিইসি এসব কথা বলেন।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, এমপিরা সবই করতে পারবেন, কেবল নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। এছাড়া তারা সমন্বয়কের দায়িত্বও পালন করতে পারবেন না। সেটা বিধিতে বলা আছে।
সিইসি বলেন, আচরণবিধি অনুসারে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে বাধা রয়েছে—এমন ব্যক্তিরা প্রার্থীর পক্ষে কথা বলতে পারবেন না। তারা ভোট চাইতে পারবেন না। তবে মুজিব বর্ষের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন।
এর আগে তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, এমপিরা পথসভায় যাবে না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্যাম্পেইন করবে না। কিন্তু আমাদের যে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমরা তো ঘরোয়াভাবে মিটিং করতে পারব। নির্বাচনী প্রচারে যাওয়া যাবে না সেটা আমরা মেনে নিয়েছি।
নির্বাচনী আচরণবিধিতে সংসদ সদস্যদের স্থানীয় নির্বাচনে প্রচারে নামার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা বলছেন, এতে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতারা প্রচারে নামতে পারলেও তারা পারছেন না।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন ৩০ জানুয়ারি হবে।