খাদ্যাভ্যাস, ওজন, শারীরিক অবস্থা ইত্যাদি কারণে ঘামে দুর্গন্ধ হতে পারে।
দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে ঘাম হওয়াটা শরীরের স্বাভাবিক কার্যপদ্ধতি। প্রাকৃতিকভাবেই ঘাম গন্ধহীন। তবে দুর্গন্ধ তখনই হয় যখন ত্বকে থাকা ব্যাক্টেরিয়ার সংস্পর্শে ঘাম যুক্ত হয়।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ঘামের দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানানো হল।
ওজন বৃদ্ধি: শরীর আর্দ্র থাকে এমন স্থানে থাকা ব্যাক্টেরিয়ার কারণে ঘামে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে। স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন বেড়ে গেলে, ত্বকের ভাঁজ ঘাম ধরে রাখে এবং এটা ব্যাক্টেরিয়া সৃষ্টিতে ইতিবাচক প্রভাব রাখে। ফলে ঘামে দুর্গন্ধ দেখা দেয়।
অতিরিক্ত মসলাদার খাবার: আমরা ঠিক যা খাই তার প্রভাব পড়ে ঘামে। রসুন ও পেঁয়াজের মতো খাবার কেবল মুখেই গন্ধ তৈরি করে না বরং এটা শরীরেরও গন্ধের সৃষ্টি করে। কারণ এসব মসলা-জাতীয় খাবার শরীর যখন ভাঙে তখন সালফার-জাতীয় যৌগ নিঃসৃত হয়। এগুলো স্থায়ীভাবে ত্বক ও ঘামের সঙ্গে বিক্রিয়া করে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে।
প্রতিদিন ‘ক্রুসিফেরাস’ ধরনের খাবার খাওয়া: মসলার মতো ক্রুসিফেরাস সবজি- বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি ইত্যাদি সবজি সালফার সমৃদ্ধ। তবে কেবল ঘামের দুর্গন্ধের কথা চিন্তা করে এসব পুষ্টিকর খাবার বাদ দেওয়া ঠিক নয়। একেবারে বাদ না দিয়ে বরং পরিমাণ কিছুটা কমাতে পারেন।
অসুস্থতা: শারীরিক সমস্যা যেমন- ডায়াবেটিস ও থায়রয়েডের কারণে ঘাম বেশি হতে পারে। নানান ধরনের ওষুধও দুর্গন্ধের জন্য দায়ী। তবে হঠাৎ ঘামের গন্ধে পরিবর্তন কিডনি বা যকৃতের সমস্যার লক্ষণ। তাই এমন সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মানসিক চাপ: মানসিক চাপ বা উদ্বেগের ফলে অ্যাপোক্রিন গ্রন্থির কাজ বেড়ে যায়, এতে ঘাম হয় বেশি এবং এই গ্রন্থি দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে।
মেনোপোজ: এই সময়ে এস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা কমতে থাকে এবং শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘাম বেশি হয়। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মানসিক পরিবর্তন হয় এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়, যা ঘামের দুর্গন্ধ সৃষ্টি জন্য দায়ী।
এই সমস্যা থেকে বাঁচতে, বাতাস চলাচল করে এমন তন্তুর পোশাক পরা ভালো। ঘামের গ্রন্থির জন্য ভালো নয় এমন খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত। এছাড়াও, বাড়তি সুরক্ষা হিসেবে সুগন্ধি ব্যবহার করা যেতে পারে।