অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসায় উপকূলের জেলাসমূহের নিচু ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের মঙ্গলবার বিকেল থেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। উপকূলের নিচু ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দা, আপনারা মঙ্গলবার বিকেল থেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাবেন।’
সোমবার ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানান ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, ‘১২ হাজার ৭৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। যেখানে প্রায় ৫১ লাখ ৯০ হাজার ১৪৪ জনকে আশ্রয় দেয়ার মতো আমাদের সক্ষমতা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘একটি মানুষকেও যাতে প্রাণ হারাতে না হয় সে ব্যাপারে সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি। যেসব মানুষ ঝুঁকিতে আছেন মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগেই তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হবে। অন্য যে কোনো দুর্যোগের থেকে এবার সব থেকে বেশি সংখ্যক আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
ইতোমধ্যে উপকূলবর্তী সব জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন করোনা সংক্রমণের সময়, তাই প্রত্যেকটি আশ্রয় কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বলেছি। যারা আশ্রয় কেন্দ্রে আসবেন তাদের মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
কেন্দ্রে যারা আশ্রয় নেবেন তাদের জন্য ৩ হাজার ১০০ টন চাল, ৫০ লাখ নগদ টাকা, শিশু খাদ্য কিনতে ৩১ লাখ টাকা, গোখাদ্য কিনতে ২৮ লাখ টাকা এবং চার হাজার ২০০ প্যাকেট শুকনা খাবার পাঠানো হয়েছে বলে জানান ডা. মো. এনামুর রহমান।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’-এর কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ সাত নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ছয় নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।