ঘূর্ণিঝড় ফণী আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। রোববার রাত নয়টা পর্যন্ত ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল ঘূর্ণিঝড়টি। এটি আগামী ২ মের মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে দক্ষিণ ভারত, ওডিশা ও বাংলাদেশে ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হতে পারে। ৫ মের মধ্যে এটি ভারত বা বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়ার বিশেষ পূর্বাভাসে এই আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ থেকে এখনো দেড় হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৮ থেকে ১১৬ কিলোমিটার। তবে সোমবার এই গতিবেগ আরও বাড়তে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় চট্টগ্রাম, পায়রা, মোংলা বন্দর ও কক্সবাজার উপকূলকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী আরও শক্তিশালী হয়ে ২ মের মধ্যে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে। তবে তা দেশের উপকূলে আঘাত করবে কি না, এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
আবহাওয়াবিদদের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ঘূর্ণিঝড় চলে এলে তা বাংলাদেশে আঘাত হানার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তার আগে এটি গতিপথ পরিবর্তন করে অন্য দিকে চলে যেতে পারে বা দুর্বলও হয়ে যেতে পারে।
এদিকে রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ বছরের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। গত বছর ১৫ জুন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল রাজশাহীতে, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার দেশের বেশির ভাগ এলাকার তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে চার দিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় দাবদাহ শুরু হয়েছে। রোববার রাজশাহী, রংপুর, খুলনাসহ দেশের অর্ধেকের বেশি এলাকায় এই দাবদাহ বয়ে গেছে। ফরিদপুর, পটুয়াখালী, বরিশাল ও খুলনার ওপর দিয়ে মৃদু দাবদাহ সোমবারও বয়ে যেতে পারে। তবে রংপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।