বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্লোগান দেওয়া নিয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে যুবদলের দুটি গ্রুপ। নেতাদের সামনেই একপক্ষ আরেক পক্ষকে চেয়ার ছুড়ে মারে। এতে ভাংচুর হয় অর্ধশত চেয়ার। বিশৃঙ্খল এ পরিস্থিতির মধ্যেই নাসিমন ভবনের সামনে শেষ হয় বিএনপির আলোচনা সভা।প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নাসিমন ভবনের সামনে নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি এবং সাবেক সহ-সভাপতি ও খালেদা জিয়ার সাবেক দেহরক্ষী শামসুল হকের অনুসারীদের মধ্যে এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে দীপ্তির অনুসারী নগর যুবদলের প্রচার সম্পাদক জিল্লুর রহমান জুয়েল ও যুবদলকর্মী হুমায়ুন আহত হন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেন, ‘বিকেলে যুবদলের কর্মসূচি ছিল না। আমরা সকালে বিপ্লব উদ্যানে সমাবেশ করেছি। বিকেলে বিএনপির কর্মসূচিতে আমাদের নেতাকর্মীরাও গিয়েছিলেন। তারা সমাবেশস্থলের একপাশে দাঁড়িয়েছিলেন। হঠাৎ ২০-৩০ জনের একটি গ্রুপ মিছিল নিয়ে সেখানে আসে। তারা বিনা উস্কানিতে হামলা চালায়। এতে আমাদের দু’জন আহত হয়েছেন।’তবে হামলার জন্য মোশাররফ হোসেন দীপ্তি সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে দায়ী করেননি। এ বিষয়ে শামসুল হকের বক্তব্যও পাওয়া যায়নি। তাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে যুবলীগের দুটি গ্রুপ হঠাৎ করে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়। এ সময় কয়েকটি চেয়ারও ভাংচুর করা হয়। ১০ মিনিটের মধ্যে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। একই প্রসঙ্গে সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, কারা এমন বিশৃঙ্খলা করেছে সেটি আমরা খতিয়ে দেখব। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন করেছি।
ঘটনাস্থলে থাকা নগর পুলিশের কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা বলেন, বিএনপি তাদের অফিসের ভেতরে সমাবেশ করেছে। সেখানে যুবদলের দুই গ্রুপের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও হাতাহাতি হয়েছে। মাঠ পেরিয়ে একপর্যায়ে তা মূল গেট পর্যন্ত এলেও রাস্তায় আসেনি।
এর আগে নগর বিএনপির নেতাকর্মীরা ২নং গেটের বিপ্লব উদ্যানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সহ-সভাপতি এমএ আজিজ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এসএম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, চৌধুরী শাহীন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আব্দুল মান্নান, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচএম রাশেদ খান, নগর বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম স্বপন, নাসিরাবাদ সাংগঠনিক ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শায়েস্তা উল্লাহ চৌধুরী, পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মুন্সি, আমীন শিল্পাঞ্চল ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় ডা. শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়ায় শহীদ জিয়ার মাজারে বিএনপির নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে পুলিশ গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। সরকার রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হওয়ায় বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।